তালা বন্ধ ঘর। বাইরে থেকে ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল পেট্রল। এরপর দাউ দাউ করে আগুন। আগুনের লেলিহান শিখা একে একে গ্রাস করে নিল গোটা বাড়িটা। পুড়ে খাক হয়ে গেল ৮জন জীবন্ত মানুষ। তার মধ্যে শিশুরা, নারীরাও ছিলেন। গোটা দেশ শিউরে উঠছে রামপুরহাটের এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড নিয়ে। কিন্তু অনেকেরই দাবি, ঘটনার পর থেকেই অদ্ভূতভাবে নীরব বাংলার বুদ্ধিজীবীরা। বাম আমলে যে বুদ্ধিজীবীদের বার বার দেখা গিয়েছে রাজপথে নেমে প্রতিবাদ করতে, যাঁদের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অস্বস্তি বাড়িয়েছিল শাসকের অন্দরে, সেই বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই বগটুই কাণ্ডের পরে সেভাবে সুর চড়াচ্ছেন না। মিছিল তো দূরের কথা, অনেকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও ভরসা পাচ্ছেন না।
তবে অনেকেই বলছেন বাংলায় এমন মেরুদণ্ডহীন, শাসকের পদলেহনকারী তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের আগে বিশেষ দেখা যায়নি। এনিয়ে একাধিক নামও উঠে আসছে আলোচনায়। কিন্তু কেন বুদ্ধিজীবীরা রামপুরহাটের ভয়াবহ ঘটনা নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তবে কী শাসক চটে যেতে পারে এই আশঙ্কাতেই নিরাপদে সুখী গৃহকোণে দিনযাপন করছেন তথাকথিত বুদ্ধিজীবীরা? প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। তবে কৌশিক সেন সহ একাধিক শিল্পী এই মৃত্যু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
নন্দীগ্রাম থেকে সিঙ্গুর যে বুদ্ধিজীবীদের দিকে একদিন তাকিয়ে থাকতেন বাংলার সাধারণ মানুষ তাঁদের মেরুদণ্ড কী বিক্রি হয়ে গেল? এমন প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। আর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ওরা সব ভাতাজীবী।