বাজারে গেলেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে অনেকের। কাল যে আলু কিনেছেন ৩২ টাকা দরে, সেই আলুই কিনতে হচ্ছে ৩৫ টাকা কেজি দরে। আবার যে পেঁয়াজ কাল কিনেছিলেন ৭০ টাকা কেজি দরে। সেই পেঁয়াজের দামই আজ হয়ে গিয়েছে ৮০-৯০ টাকা প্রতি কেজি। কার্যত মাথায় হাত মধ্য়বিত্তের। এবার বাজারের দাম বৃদ্ধি কেন হচ্ছে তার কারণ খুঁজতে বিভিন্ন বাজারে হানা দিচ্ছে টাস্ক ফোর্স। আর সেখানে গিয়ে যে ছবি তাদের সামনে ধরা পড়ল তা ভয়াবহ। এটা মূলত কলকাতার এয়ারপোর্ট সংলগ্ন বাজার, দমদমের একাধিক বাজারের ছবি।
তবে শুধু কলকাতায় নয়, উত্তরবঙ্গের বাজারগুলিতেও আলু পেঁয়াজ, সবজির দাম ক্রমেই চড়ছে। রবিবার টাস্ক ফোর্স জলপাইগুড়ির বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়েছিল।
জলপাইগুড়ির দিনবাজারে, স্টেশন বাজারে জ্যোতি আলুর দাম ত্রিশ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়েছে। লাল আলুর দাম প্রায় চল্লিশ টাকা প্রতি কেজি।
কিন্তু কেন এভাবে দাম বাড়ছে?
টাস্ক ফোর্সের নজরে আসে কয়েকটা ধাপ পেরিয়ে আলু যাচ্ছে খুচরো ব্যবসায়ীদের কাছে।সেখান থেকে কিনছেন ক্রেতারা। যার জেরে সমস্যাটা বাড়ছে। সাধারণত হিমঘর থেকে আলু বের করে সেগুলি পাইকারি বাজারে আসে। সেখান থেকে খুচরো ব্যবসায়ীরা আলু কিনে বাজারে নিয়ে আসেন। তবে এই চেইনটি পরীক্ষা করতে গিয়ে টাস্ক ফোর্সের নজরে আসে পাইকারি বাজার থেকে একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা বেশিরভাগ আলু কিনে ফেলছেন। আর তাদের কাছ থেকে ছোট ব্যবসায়ীরা আলু কিনছেন। তার জেরে লাভ বৃদ্ধির জন্য খুচরো ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। কারণ তাদের তো বেশি দামে আলু কিনতে হয়েছিল। আসলে আগের ধাপের ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছেমতো আলুর দাম বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার ফল ভুগতে হচ্ছে পরবর্তী ধাপগুলিকে। বাজারের ভেতর আর একটা কৃত্তিম বাজার।
তবে শুধু উত্তরবঙ্গের বাজারগুলিতে নয়, কলকাতার একাধিক বাজারে আলু, পেঁয়াজ, বিভিন্ন সবজির দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। কোথাও কোনও দাম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপার নেই। কিছু জায়গায় টাস্ক ফোর্স ঘুরছে। কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয়নি।
মঙ্গলবার কলকাতার একাধিক বাজারে দেখা যায় আলু পেঁয়াজ সবজির দাম একেবারে আকাশছোঁয়া। হাত দেওয়া যাচ্ছে না। কোথাও সিমের দাম ১০০ টাকা কেজি, কোথাও আবার ৬০ টাকা কেজি। এভাবে দামের ফারাক কীভাবে হচ্ছে সেটাই বুঝতে পারছেন না ক্রেতারা। বেগুন, টমেটো, গাজর, কপির দামও ভয়াবহ।