আলুর দাম কমবে কমবে করেও কমল না। আলু ব্যবসায়ীদের ধর্মঘট উঠে গিয়েছে। হিমঘর থেকেও প্রচুর আলু বাজারে আসছে। তারপরেও আলুর দাম কমার কোনও লক্ষণ নেই। এদিকে ক্রেতারা অনেকেই ভেবেছিলেন আলুর দাম হয়তো এবার কমে যাবে। অন্তত একটি ক্ষেত্রে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু সেটা হওয়ার নয়। আলুর দাম কমার কোনও ব্যাপারই নেই।
কলকাতার একাধিক বাজারে এখনও ৩৫-৩৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি হচ্ছে। একাধিক জায়গায় ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরেও আলু বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের প্রশ্ন কবে আলুর দাম কমবে? দু কেজি আলু কিনতেই ৭০-৮০ টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। এর জেরে মধ্য়বিত্ত এবার কী করবে?
তবে সূত্রের খবর, খুচরো ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে আলুর দাম কমাতে চাইছেন না। মূলত টাস্ক ফোর্স সেভাবে নজরদারি না করার জেরেই এই সমস্যা তৈরি হচ্ছে। তবে ছুটির দিন রবিবারেও বাজারগুলিতে হানা দেবে টাস্ক ফোর্স।
এদিকে শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ও উদ্য়ানপালন দফতরের মন্ত্রী অরূপ রায় জানিয়েছেন, হিমঘর মালিক, আলু ব্যবসায়ীদের সংগঠন, পরিবহণ মালিকদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। আমাদের আশা দ্রুত আলুর দাম সাধারণ মানুষের সাধ্য়ের মধ্যে আসবে।
এদিকে রোজকার রান্নায় অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল আলু। কিন্তু সেই আলুর দাম কিছুতেই কমছে না। বাসিন্দাদের প্রশ্ন আলু কিনতেই যদি ১০০ টাকা চলে যায় তবে বাকি সবজি কিনতে কত টাকা লাগবে? মারাত্মক সমস্যায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ। এনিয়ে বার বার বিভিন্ন মহল থেকে নানা আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কিছুতেই কমছে না আলুর দাম।
বুধবার থেকেই হিমঘরের আলু পাইকারি বাজারে যেতে শুরু করেছে। বাজারে আলুর যোগান ক্রমশ বাড়ছে। তার জেরে আলুর দাম তো কমার কথা। কিন্তু আলুর দাম কমছে কোথায়?
সাধারণ ক্রেতাদের দাবি, টাস্ক ফোর্সের নজরদারি ছাড়া আলুর দাম কমার কোনও সম্ভাবনা নেই। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে লাভ করতে চাইছেন। খুচরো ও পাইকারি বাজারে হানা না দিলে আলুর দাম কিছুতেই কমবে না। ইচ্ছাকৃতভাবে আলুর দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি সাধারণ ক্রেতাদের একাংশ।
কবে কমবে তা নিয়েও কোনও নিশ্চয়তা নেই। এদিকে আলুর দাম কেন কমানো হচ্ছে না তা নিয়েও নির্দিষ্ট কোনও তথ্য দেওয়া হচ্ছে না।