নিরাপত্তার কড়া বেষ্টনীর মধ্যে থাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। সেখানেই ঢুকে পড়েছিল যুবক। রাতভর প্রায় ৭ ঘণ্টা ছিল সেখানেই। তারপর সকালে গাড়ি বের করার সময় দেখা যায় গাড়ির পেছনে লুকিয়ে রয়েছে এক যুবক। পুলিশ দেখেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন ওই যুবক। পুলিশ তাকে ধরে ফেলে। পরে জানা গেল সেই যুবকের নাম হাফিজুল মোল্লা। বয়স ৩১ বছর। বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের নারায়ণপুরে।
কিন্তু কেন সে মমতার বাড়িতে ঢুকে পড়ল? কী করে ওই যুবক? এসব প্রশ্ন ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। তবে সূত্রের খবর, ওই যুবক এর আগে নবান্নতেও ঢোকার চেষ্টা করেছিল। এবার একেবারে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে রাতভর ডেরা নিল হাফিজুল।
সূত্রের খবর, নারায়ণপুর গ্রামের হাফিজুল আদপে পেশায় গাড়ি চালক। তার চার বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। সপ্তাহখানেক আগেই সে কলকাতায় এসেছিল। সম্ভবত গাড়ি চালানোর জন্য়ই সে কলকাতায় আসে। এরপর একেবারে মমতার বাড়িতে। শনিবার রাতে ফোনে পরিবারের সঙ্গে কথাও হয়েছিল তার। পরে আর ফোনে পাওয়া যায়নি।
এদিকে পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে তার মানসিক সমস্য়া রয়েছে। সেকারনেই বার বার সে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চলে যায়। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন মানসিক সমস্যা থাকলে সে গাড়ি চালাত কী করে? ধৃতের বাবার দাবি, কোনওদিন অ্য়াক্সিডেন্ট করেনি। এদিকে সব ঠিক। এর সঙ্গেই উদ্ভট দাবি করেছেন ধৃতের বাবা।
ধৃতের বাবার দাবি, ছেলে বার বার বলত আমি বিয়ে করব। তা কি হয় নাকি? বৌমা একদিনের জন্য় অন্য়ত্র গিয়েছিল। আর ছেলেও মুখ্য়মন্ত্রীর বাড়িতে ঢুকে পড়ল। আসলে মাথার ডিফেক্ট রয়েছে। ধৃতের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী কলকাতায় গাড়ি চালায়। স্বামীর মাথার সমস্যা রয়েছে। মারতে যায়। প্রতিবেশী ইয়াসিন মোল্লা বলেন, ওর মাথার সমস্যা। বাইরে কী করে জানি না। আমরা জানি গাড়ি চালায়। কখন গ্রামে আসে বুঝতে পারি না। স্বামী স্ত্রীর সমস্যা রয়েছে।