বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে 'এক কথায় হতাশ' রাজ্যের অন্যতম প্রবীণ মন্ত্রী সুব্রত মুখপাধ্যায়। এদিন মোদীর ভাষণকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, শুধু নবরাত্রি আর ঘণ্টা বাজানোর উল্লেখ কেন? কেন নেই হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান সবাইকে একজোট হয়ে লড়াই করার আহ্বান।
বৃহস্পতিবার রাতে সংবাদমাধ্যমকে পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখপাধ্যায় বলেন, 'একটা ঘণ্টা দিয়ে করোনাকে তাড়ানো যাবে একথা যদি প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাহলে কী করে আমরা সহমত হবো? এটা কতটা আরএসএস-এর কর্মসূচির মতো। করোনার মতো অসুখের মোকাবিলা করার জন্য কোথায় সাধারণ মানুষকে সচেতন হতে বলবেন, কোথায় রাজ্যগুলোকে কী সাহায্য করবেন তা বলবেন, তা না করে উনি বললেন আমি ফাইনান্স মিনিস্টারকে বলে দিয়েছি উনি সাহায্য করবেন। কী সাহায্য করবেন তা বললেন না। বললেন, বাড়িতে থাকতে। সে তো বাড়ির লোক সব সময় বলছে।' \
সুব্রতবাবুর দাবি, 'ঘণ্টা বাজানোর মধ্যে উনি একটা সুক্ষ্ম হিন্দুত্ববাদ প্রচার করতে চাইলেন। বললেন, নবরাত্রি আর ঘণ্টা বাজাও। বললেন না তো কিছুদিনের মধ্যেই ইদ আসছে, রোজা শুরু হবে। বললেন না তো, ভারবর্ষের হিন্দু, মুসলিম, শিখ, জৈন, খ্রিস্টান, সবাই মিলে একে মোকাবিলা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে আমি এক কথায় হতাশ।'
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী আগামী রবিবার জনতা কার্ফুতে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছেন। জানিয়েছেন, 'খুব দরকার না পড়লে আগামী রবিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে বেরোবেন না।'
সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আবেদন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েও যারা নিরলস মানুষের সেবা করে চলেছেন, ওই দিন তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানান। সেজন্য রবিবার বিকেল ৫টায় বাড়ির দরজা, বারান্দা বা জানলার সামনে এসে ঘণ্টা, থালা বাজান বা হাততালি দিন।