উচ্চ মাধ্যমিকে এত ফেল কেন? এনিয়ে কয়েকদিন আগেই সংসদ সভাপতি মহুয়া দাসের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। এসবের মধ্যে উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের একাংশের মধ্যে ক্রমেই অসন্তোষ দানা বাঁধছে। করোনা পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে একেবারে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করছেন তারা। এবার এনিয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করল শিক্ষাদফতর। সোমবার এই মর্মে শিক্ষাদফতর বৈঠকে বসে। সেখানে শিক্ষাসচিব মণীশ জৈনও ছিলেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে ছাত্র স্বার্থ কীভাবে রক্ষিত হয় সেব্যাপারেও আলোচনা হয়।কীভাবে এই ধরণের বিক্ষোভকে কমানো যায় সেব্য়াপারেও আলোচনা হয়। এরপরই রাজ্য়ের সমস্ত জেলাশাসককে চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষাদফতর।
উচ্চমাধ্যমিকে রেজাল্ট প্রকাশিত হওয়ার পর কেন জেলায় জেলায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে এত অসন্তোষ দানা বেঁধেছে তা জানতে চেয়েছে স্কুল শিক্ষাদফতর। সোমবার জেলাশাসকদের এব্যাপারে চিঠিও পাঠানো হয়েছে। কোন স্কুলে কেন এই ধরণের বিক্ষোভ তা নিয়ে সরাসরি শিক্ষাদফতরকে রিপোর্ট দেবেন জেলাশাসকরা। যে সমস্ত স্কুলে এই ধরনের অসন্তোষ দানা বেঁধেছে তা খতিয়ে দেখতে স্কুলগুলির পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখবেন এসআই ও ডিআইরা।
তবে জেলায় জেলায় উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্টকে কেন্দ্র করে যেভাবে ক্ষোভ দানা বেঁধেছে তা নিয়ে উদ্বেগে শিক্ষা দফতর। সেই ক্ষোভ সামলানোটাই এখন দফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। এদিকে এবার করোনা পরিস্থিতিতে পরীক্ষা হয়নি। সেক্ষেত্রে বিকল্প পদ্ধতিতে নম্বর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। এদিকে পড়ুয়াদের একাংশের অভিযোগ নম্বর দেওয়ার সময় সংসদ গণ্ডগোল করে ফেলেছে। যার জেরে এত পড়ুয়া অকৃতকার্য হয়েছেন। বাস্তবে কী হয়েছে সেটাই জানতে চায় শিক্ষাদফতর। পাশাপাশি বিভিন্ন সূত্রে জানা গিয়েছে সামগ্রিক ব্যাপারে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদকেও সক্রিয় হওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।