কালবৈশাখীর মধ্যে বড়সর দুর্ঘটনা রবীন্দ্রসরোবরে। উলটে গেল রোয়িং বোট। ওই বোটে ছিল ৫জন। তিনজন কোনওরকমে পাড়ে উঠতে পারে। কিন্তু ফিরতে পারল না দুজন। রোয়িং বোট উলটে রবীন্দ্র সরোবরেই তলিয়ে গেল সাউথ পয়েন্টের দুই ছাত্র। পরে তাদের দেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। একজন দশম ও অপরজন নবম শ্রেণির ছাত্র। মৃতদের নাম পুষণ সাঁধুখা, সৌরদীপ চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু কেন এমন হল? কেন উদ্ধারকারী কোনও বোট ছিল না রবীন্দ্র সরোবরে? এদিকে এনিয়ে পরিবেশবিদদের ঘাড়ে কার্যত দায় চাপিয়ে দিয়েছেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
সূত্রের খবর ৭টা বোটের মধ্যে ৬টি বোট উলটে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে বোট উলটে গেলেও সেগুলি ডুবে যায় না। সেক্ষেত্রে বোট ধরেই তারা ভেসে থাকতে পারত। কিন্তু ওই দুজন সম্ভবত সাঁতরে পাড়ে ওঠার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ঝড়ের দাপটে তলিয়ে যায় তারা। তবে প্রশ্ন উঠছে তাদের শরীরে কি লাইফ জ্যাকেট ছিল?
এদিকে ক্লাবের দাবি উদ্ধারকারী বোট হিসাবে হাইস্পিড মোটরচালিত বোট দরকার । তবে কেএমডিএ নোটিশ দিয়ে মোটর বোট বন্ধ করে দিয়েছিল। দাঁড় টানা বোট দিয়ে এদিন উদ্ধার করতে যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি ছাত্রদের। সন্ধ্যা ৭টা ও পরে ৭টা ৪০ মিনিট নাগাদ দুটি দেহ উদ্ধার করা হয়। তাঁরাও ফলো বোট না থাকার পেছনে পরিবেশ বিধির কথা বলছেন।
এদিকে মেয়রের দাবি, আমাদের সব থেকে সমস্যা পরিবেশবিদরা বিষয়টি বুঝতে পারছেন না। একটি রেসকিউ বোট দরকার। পরিবেশের খবর দিয়ে, জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালে পিটিশন করে রেসকিউ বোটটাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ওই বোট থাকলে দুটি ছেলের প্রাণ বেঁচে যেত।
চন্দন রায় চৌধুরী, (সম্পাদক, ক্ল্যালকাটা রোয়িং ক্লাব) বলেন, দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। তিনজনকে উদ্ধার করা হয়েছে। দুজনের মৃত্যু হয়েছে।