‘হঠাৎ আইএসএফের সঙ্গেই জোট কেন?’ রাজ্য কমিটির সঙ্গেও তো অন্তত ঘণ্টা খানেক বৈঠক করা যেত! রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে আলিমুদ্দিনের শীর্ষ নেতৃত্বের দিকে এবার এই প্রশ্নই ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বাম নেতারা। ভোটে ভরাডুবির পর বাম নেতাদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিলই। সেই জমে থাকা ক্ষোভ ফেটে পড়ল রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে। আব্বাস সিদ্দিকিকে নিয়ে তুলকালাম কাণ্ড ঘটে গেল এই বৈঠকে। জোটের যৌক্তিকতা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বাম নেতারা। তাঁদের প্রশ্ন, জোট সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্তত তাঁদের সঙ্গে একবার আলোচনার করা যেত। কিন্তু তা করা হল না কেন?
তবে কারও সঙ্গে জোট ভাঙার ব্যাপারে সিপিএমের শীর্ষ নেতৃত্বের যে কোনও সায় নেই, তা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র।
এপ্রসঙ্গে সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘আমরা কাউকেই জোট থেকে বেরিয়ে যেতে বলব না। কিন্তু কেউ যদি চান তাঁরা নিজেদের মতো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।’ শনিবার রাজ্য কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে আব্বাসের দলের সঙ্গে জোটের যৌক্তিকতা নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের দিকেই প্রশ্নবাণ ছুড়ে দেন রাজ্যের নেতারা। রাজ্য নেতাদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আলিমুদ্দিনের নেতারা। শীর্ষ নেতৃত্বকে বিঁধেই তাঁরা জানতে চান, তাঁদের না জানিয়ে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ)’র সঙ্গে হঠাৎ করে কেন জোট করা হল? রাজ্য কমিটিতে তো অন্তত ১ ঘন্টার জন্য বৈঠক করে মতামত নেওয়া যেত। রাজ্য নেতাদের মত, শুধু আব্বাসকে নিয়ে বাকিদের চটানো হল।