লোকসভা ভোট মিটতেই একাধিক বিধানসভা আসনে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ১০ জুলাই বাংলার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন রয়েছে। সেগুলি হল- রায়গঞ্জ, রানাঘাট, বাগদা এবং মানিকতলা। এরমধ্যে নজরকাড়া আসন হল প্রয়াত মন্ত্রী সাধন পাণ্ডের কেন্দ্র মানিকতলা। এই কেন্দ্রে সাধন পাণ্ডের মেয়ে না স্ত্রীকে তৃণমূল কাকে প্রার্থী করবে তা নিয়ে চলছিল দীর্ঘ টানাপোড়েন। অবশেষে দলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধন পত্নী সুপ্তি পাণ্ডের নামেই সিলমোহর দিয়েছে। আর তারপরেই বুধবার সকাল থেকে মানিকতলার বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রচার শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। দেওয়াল লিখনও শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ মাস পরে ভোট মানিকতলায়, প্রার্থী কি সাধন-কন্যা শ্রেয়া? আরও ৩টিতে উপ-নির্বাচন
কলকাতা পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অমল চক্রবর্তী নিজে হাতেই দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করেন। এই কেন্দ্রে আগে বিধায়ক ছিলেন সাধন পাণ্ডে। তবে দীর্ঘ অসুস্থতার কারণে ২০২২ সালে তাঁর মৃত্যু হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ভোটে লড়াই করেছিলেন বিজেপির প্রার্থী কল্যাণ চৌবে। তিনি কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এতদিন উপনির্বাচন সম্ভব হয়নি এই কেন্দ্রে। তবে সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্ট সেই মামলা খারিজ দ্রুত উপনির্বাচনের নির্দেশ দিয়েছে। সেই নির্দেশ মেনে সোমবার নির্বাচন কমিশন ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্র গঠিত হওয়ার পরে সেখানে প্রার্থী হয়েছিলেন সাধন পাণ্ডে। সেই সময় তিনি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন। পরে ২০১৬ এবং ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটেও তিনি সেখানে জয়ী হয়েছিলেন। মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী।
এদিকে, ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরেই সোমবার উত্তর কলকাতা নেতাদের ডেকে নবান্নে বৈঠক করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ, মেয়র পারিষদ স্বপন সমাদ্দার, বেলেঘাটার বিধায়ক পরেশ পাল এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ সেই বৈঠকে যোগ দেন। পরে মঙ্গলবার কোর কমিটির সদস্য এবং মানিকতলা বিধানসভার অন্তর্গত কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে সুপ্তি পাণ্ডেও উপস্থিত ছিলেন। সেখানেই তাঁকে প্রার্থী করার বিষয়ে সীলমোহর দেন মমতা।
উল্লেখ্য, মানিকতলা কেন্দ্রে লোকসভা ভোটে মাত্র ৩০০০ ভোটে এগিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয়ে রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শামীম ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা সব কটি আসনেই প্রার্থী দেব। এমন অবস্থার মধ্যেও আমরা এই আসনগুলিতে এগিয়ে রয়েছে। শুধুমাত্র মানিকতলা আসনে আমাদের ব্যবধান কম রয়েছে। সেটা আমরা কাটিয়ে উঠবো।’