এবার লোকসভা ভোটে বিজেপিকে একেবারে বলে বলে গোল দিয়েছে তৃণমূল। এরপরই আসছে ২১শে জুলাই। প্রতিবারই এই দিনটা তৃণমূলের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দিনটাতেই নতুন করে শপথ নেওয়ার দিন। জেলা থেকে দলে দলে কর্মীরা নেতারা আসেন মহানগরীতে। একেবারে উৎসবের পরিবেশ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এবার কি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই সভায় থাকবেন না?
আসলে রাজ্য়সভাপতি সুব্রত বক্সির একটি চিঠিকে ঘিরেই জল্পনা ছড়িয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি ব্লকে ২১শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করতে হবে। ওই দিন যাতে ধর্মতলায় বিপুল জমায়েত হয় তার আহ্বানও করা হয়েছে। কিন্তু সেই চিঠিতে নাম রয়েছে অরূপ বিশ্বাস, জয়প্রকাশ মজুমদারদের। কিন্তু নাম নেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের।
গত ১০ মার্চ ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষে জেলাগুলিতে চিঠি পাঠানো হয়েছিল রাজ্য থেকে। সেখানে নাম ছিল অভিষেকের। কিন্তু এই চিঠিতে নাম নেই। তবে বিগতদিনে ২১শে জুলাইয়ের আগে পাঠানো চিঠিতে অভিষেকের নাম যে থাকতই এমনটা নয়। তবুও কোথাও যেন জল্পনাটা মাথা চাড়া দিচ্ছে। তবে তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য় এসব মানতে চান না। তাঁদের মতে , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সমস্ত কর্মকাণ্ডেই আছেন। এই যে জল্পনা ছড়াচ্ছে তার কোনও অর্থ নেই।
আসলে কিছুদিন আগে অভিষেকই লিখেছিলেন রাজনীতি থেকে কিছুদিন বিরতিতে থাকার কথা। তারপর থেকেই অনেকে দুয়ে দুয়ে চার করতে চাইছেন। তবে একথা বলাই যায় এবারের লোকসভা ভোটে কৌশলী পদক্ষেপের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা ছিল অভিষেকের।
কঠিন পরিশ্রম করেছেন তিনি নিজেও। তারপর সাফল্যও এসেছে। বিপুল ভোটে জয়ও পেয়েছেন তিনি। কিন্তু তারপরেও তো দিনের শেষে তিনি কেবলমাত্র ডায়মন্ডহারবারের সাংসদই। তিনিই একটা সময় মতামত দিয়েছিলেন বয়স হলে অবসর নেওয়া দরকার। তারপর এনিয় দলের অন্দরে নানা কথা হয়েছে। তারপরেও এবার সাংসদ হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এবার সাংসদ হয়েছেন সৌগত রায়। তবে কি দলের অন্দরে মান্যতা পায় না অভিষেকের কথা?
এসব জল্পনার মাঝেই সামনে এসেছে সেই সুব্রত বক্সির চিঠি। তবে সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরে তিনি চোখের চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে পারেন। তবে সবটাই নির্ভর করছে চিকিৎসক কবে সময় দেন তার উপর। তবে সব কিছুর পরেও ২১শে জুলাইয়ের কর্মসূচিতে অভিষেকের থাকার সম্ভাবনাই বেশি। তারপরেও যদি তিনি না থাকেন তবে তো অন্য কথা।