পরিস্থিতি যদি নিয়ন্ত্রণে থাকে তাহলে, দুর্গাপুজোর পরেই খুলতে চলেছে রাজ্যের সমস্ত স্কুল। অবশ্য প্রাথমিক পর্যায় নবম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের নিয়ে চালু করে দেওয়া হবে পঠন পাঠন। ইতিমধ্যেই ১ অক্টোবর থেকে পরীক্ষামূলকভাবে পড়ুয়াদের আধার কার্ড নথিভুক্তিকরণ প্রক্রিয়া শুরু করছে রাজ্যের শিক্ষা দফতর। এমনই নির্দেশিকা জেলার পরিদর্শকদের পাঠানো হয়েছে। এরইমধ্যে এবার স্বাস্থ্যদপ্তরের একটি নির্দেশিকা ঘিরে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও খুলে যাওয়ারও সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। রাজ্যের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
সূত্রের খবর, পুজোর পরেই বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজগুলিতে অফলাইন পঠন পাঠন শুরু করতে চায় রাজ্য। তার জন্যই পুজোর আগেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রক্রিয়াটি অনেকটাই শেষ করে ফেলতে চাইছে রাজ্য।
বুধবার স্বাস্থ্য ভবন তেমনই একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছে জেলাগুলোর সমস্ত কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অফলাইনে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার সম্ভাবনা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্ত পড়ুয়াদের দ্রুত ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। আর এই ভ্যাকসিন কর্মসূচি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে আলোচনা করেই বাস্তবায়িত করবে স্বাস্থ্য দফতর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ ক্যাম্পাসেই পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। তবে এও বলা হয়েছে যে, যদি কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপযুক্ত পরিকাঠামোর থাকে তবে সেখানে টিকাকরণ শিবিরের আয়োজন করা হবে। তা না হলে, স্বাস্থ্য দফতরের তরফে যে ক্যাম্পগুলো তৈরি করা হয়েছে, সেখানেই টিকাকরণের বন্দোবস্ত করবেন আধিকারিকরা। এই সংক্রান্ত বিষয় ইতিমধ্যেই কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্টেক হোল্ডারদের সঙ্গে জেলার সমস্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের আলোচনায় বসার নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তবে সেই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে যে, টিকাকরণের যাবতীয় কাজ করতে হবে স্বাস্থ্যকর্মীদেরই।
সে কারণে তাঁদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুজোর পর যাতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পঠন-পাঠন শুরু করা যায়, সে কারণে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভ্যাকসিন দেওয়ার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর।