সোমবার রাতে আচমকাই রটে যায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন মুকুল রায়। এনিয়ে তুমুল হইচই পড়ে যায়। মঙ্গলবার এনিয়ে মুখ খুললেন মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়। তিনি সাংবাদিক বৈঠকে গোটা বিষয়টি খোলসা করেছেন।
শুভ্রাংশু বলেন, বাবার সঙ্গে আমার বন্ধুত্বের সম্পর্ক। বাবার সঙ্গে আমার কোনওদিনও মনোমালিন্য হয়নি। সারাদিনে বাবা ১৮টা ওষুধ খায়। ইনসুলিন বাদ দিয়ে। আমার বাবার যদি কিছু হয়ে যায় তার দায়ভার কে নেবে? সে গেল কী করে সেটাই তো বুঝতে পারছি না। রাজনৈতিক নোংরা খেলায় নামা হচ্ছে। আমার লাস্ট কথা হয়েছিল ৬টা ১০ নাগাদ। আমি এয়ারপোর্ট থানায় জানিয়েছিলাম। সিআইএসএফ আমার সঙ্গে কেউ সহযোগিতা করেনি। আমি যতদূর জানি একজনের মেন্টাল কন্ডিশন যদি ভালো না থাকে, তিনি কিছু করতে চাইলে পরিবারের অনুমতি নিতে হয়।
শুভ্রাংশু জানিয়েছেন, সকলেই আমার পাশে রয়েছেন। সকলেই জানেন মুকুল রায়ের কন্ডিশনটা ঠিক কী! সকলেই বলেছেন পাশে রয়েছেন। দরকার পড়লে যাবেন। দিল্লি থেকে এলে প্রথম কাজ হবে কোনও হাসপাতালে ভর্তি করা। কাল রাতে যখন এয়ারপোর্টে যাই তখনই জানতে পারি বাবা দিল্লি যাচ্ছে। এখানকার পুলিশ সহযোগিতা করছে। কিন্তু দিল্লি পুলিশ সহযোগিতা করছে না।
শুভ্রাংশু বলেন, কালকে নিজে সিএম ফোন করে বাবার খবর নিয়েছেন দুবার। কেমন আছিস? শরীর কেমন ? এই সব। আমি জানতাম দিল্লি যাচ্ছে। এয়ারপোর্টে গিয়ে জেনেছি। কিন্তু দিল্লির কোথায় গিয়েছে সেটা জানি না। পরিবারের পাশে মুখ্যমন্ত্রী , অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় যেভাবে দাঁড়িয়েছেন আর কেউ দাড়াননি। দিল্লি যেতে তো হবেই। বাবার কিছু হয়ে গেলে কী হবে।
শুভ্রাংশু বলেন, যে দল সবথেকে বেশি আমাদের পাশে রয়েছে সেই তৃণমূলেই রয়েছেন বাবা। এটা ছেলে হিসাবে আমার মত। তবে এখন কী হচ্ছে জানি না। পুলিশ চেষ্টা করছে। দিল্লিতে আছি এটা জানি। তবে কোথায় জানি না। বাবা যদি বিজেপিতে জয়েন করে তবে সুস্থ অবস্থায় যোগ দিচ্ছে না এটা বলছি। ছেলে হিসাবে সন্তানের কর্তব্য বাবার চিকিৎসা করানো। কেউ ফোনটা ইচ্ছা করে নিয়ে নিয়েছে নাকি নিজেই অফ করেছে এটা জানি না। অভিষেককে অপদস্থ করার জন্য এসব করা হচ্ছে।
শুভ্রাংশু বলেন, তিন বছর আগের মুকুল রায় আর এখনকার মুকুল রায় হেল অ্যান্ড হেভেন ডিফারেন্স। প্রচুর পার্থক্য। তিনি কোথাও যোগ দিলে কোনও ফারাক পড়বে না তৃণমূলে। তবে সিপিএম নেবে না এটা ঠিক, কিন্তু মুকুল রায়ের মা ছিলেন সিপিএম, মামারা সিপিএম।