ভবানীপুরে হারাব। একেবারে খোলা চ্যালেঞ্জ শুভেন্দু অধিকারীর। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করে ফের চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু অধিকারী।
এবার প্রশ্ন তবে কি ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুরে শুভেন্দু অধিকারী বনাম মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের লড়াই দেখবে বাংলা?
এনিয়ে ইতিমধ্য়েই জল্পনা চলছে। কিন্তু দল কি বলছে?
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী যদি ভবানীপুরে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দেন তবে তা স্বাগত। 'শুভেন্দুবাবু যদি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য দলের কাছে প্রস্তাব দেন তবে তা স্বাগত। এটা আমারও বিশ্বাস যদি শুভেন্দুবাবু যদি ভবানীপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ান তাহলে শুভেন্দুবাবু জিতবেন।'
২০২৬এর বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বিজেপি ও তৃণমূল তাদের মতো করে ঘর গোছাতে শুরু করেছে। একেবারে মহারণের প্রস্তুতি। এমনকী তার মধ্য়ে ঘর ভাঙার পালাও চলছে।
এসবের মধ্য়েই ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে খোলা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু। তিনি সংবাদমাধ্য়মের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, আপনি চার বছর ধরে আপনার হারের যন্ত্রণা ভুলতে পারেননি। বড় বড় কথা। আপনাকে ভবানীপুরে হারাব। আরও পাঁচবছর হারের যন্ত্রণা ভোগ করতে হবে। জানালেন শুভেন্দু।
নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুভেন্দুর নিজের গড়ে লড়তে গিয়েছিলেন নেত্রী। কিন্তু সেখানে শুভেন্দুর কাছে পরাজিত .হয়েছিলেন তিনি। বার বারই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এনিয়ে খোঁচা দেন বাংলার মুখ্য়মন্ত্রীকে। এবার ভবানীপুরেও হারাব বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন শুভেন্দু।
এদিকে বিধানসভা ভোটের এখনও অনেক মাস বাকি। কিন্তু তার আগেই একে অপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছেন। বিধানসভার অন্দরেও সেই উত্তাপের আঁচ অনুভব করছেন অনেকে। আবার বিধানসভার বাইরেও আছড়ে পড়ছে রাজনৈতিক ঝড়।
তবে বাংলায় বর্তমানে কতটা অনুকূলে রয়েছে বিজেপির নৌকা? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, মেরুকরণের সবরকম চেষ্টা চলছে গেরুয়া শিবিরের তরফে। কিন্তু বাস্তবে সেই অঙ্ক কতটা কাজ করবে বাংলায় তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ বাংলার মাটি কিছুটা অন্যরকম। এই মাটিতে মেরুকরণের ফর্মুলা বিশেষ কাজ করে না। সেই নিরিখে বিজেপি শেষ পর্যন্ত কতটা সুবিধা করতে পারবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
সেই সঙ্গেই বিগত দিনের ভুল শুধরে কতটা ঘুরে দাঁড়াতে পারবে গেরুয়া শিবির তা নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন। কারণ একাধিক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বিজেপির সংগঠন আগের থেকেও নড়বড়ে। উত্তরঙ্গের একাধিক জেলাতেও বিজেপির জনভিত্তি ক্রমেই নড়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে আগামী কয়েক মাসের মধ্য়ে লড়ার মতো শক্তি অর্জন না করতে পারলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সামনে কতটা দাঁড়াতে পারবে গেরুয়া শিবির তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।