বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Dakshineswar Kali Mandir's Fake Account: 'অনেক জায়গায় মা কালীকে ওয়াইন অর্পণ করা হয়', সত্যিই কি বলল দক্ষিণেশ্বর মন্দির?

Dakshineswar Kali Mandir's Fake Account: 'অনেক জায়গায় মা কালীকে ওয়াইন অর্পণ করা হয়', সত্যিই কি বলল দক্ষিণেশ্বর মন্দির?

দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ভুয়ো টুইটার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে এএনআই) (Utpal Sarkar)

Dakshineswar Kali Mandir's Fake Twitter Account: দক্ষিণেশ্বর কালী টেম্পল অ্যান্ড দেবোত্তর স্টেটের তরফে দাবি করা হয়েছে, টুইটারে মন্দির কর্তৃপক্ষের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তাই টুইট করার কোনও প্রশ্নই আসছে না। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিতর্কিত ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে।

'এখনও অনেক জায়গায় মা কালীকে ওয়াইন অর্পণ করা হয়।' দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের নামে এমনই একটি টুইট করা হয়েছিল। সেই টুইটে মা কালীকে নিয়ে বিতর্কিত পোস্টারের উল্লেখ ছিল। যদিও মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও টুইটার অ্যাকাউন্ট নেই। টুইট তো দূর অস্ত। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়েছে।

‘Dakshineswar Kali Temple’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে বৃহস্পতিবার দুপুরে টুইট ভেসে ওঠে। টুইটে দাবি করা হয়, 'এখনও অনেক জায়গায় মা কালীকে ওয়াইন অর্পণ করা হয়। ওটা ওই এলাকার নিয়ম।' সেইসঙ্গে ‘Dakshineswar Kali Temple’ নামে ওই অ্যাকাউন্টের টুইটে দাবি করা হয়, ‘কালী’-র বিতর্কিত পোস্টার কোনওভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে এই টুইট করা হয়েছিল।
ভুয়ো অ্যাকাউন্ট থেকে এই টুইট করা হয়েছিল।

দক্ষিণেশ্বর কালী টেম্পল অ্যান্ড দেবোত্তর স্টেটের তরফে দাবি করা হয়েছে, টুইটারে মন্দির কর্তৃপক্ষের কোনও অ্যাকাউন্ট নেই। তাই টুইট করার কোনও প্রশ্নই আসছে না। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য বিতর্কিত ভুয়ো অ্যাকাউন্ট তৈরি করা হয়েছে। যে অ্যাকাউন্টটি গত বছর ডিসেম্বরে তৈরি করা হয়েছিল বলে দেখানো হচ্ছিল। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশের অভিযোগ জমা পড়ার মধ্যেই ‘Dakshineswar Kali Temple’ নামে টুইটার অ্যাকাউন্টটি গায়েব হয়ে গিয়েছে। টুইটারে বলা হচ্ছে, ‘ওরকম কোনও অ্যাকাউন্টের অস্তিত্ব নেই।’

এখন ওই টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে এই বার্তা দেখাচ্ছে। 
এখন ওই টুইটার অ্যাকাউন্ট খুলতে গেলে এই বার্তা দেখাচ্ছে। 

কী নিয়ে বিতর্ক?

সম্প্রতি ডকুমেন্ট্রি ফিল্মমেকার লীনা মানিমেকালাইয়ের ‘কালী’ সিনেমার ‘অবমাননাকর’ পোস্টার নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পোস্টারে মা কালীর বেশে এক মহিলাকে দেখা গিয়েছে। নেটিজেনদের একাংশ লীনার বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ করেছেন। পরিচালককে গ্রেফতারির দাবিও উঠেছে। ইতিমধ্যে দিল্লি এবং উত্তরপ্রদেশে তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।

আরও পড়ুন: 'তারাপীঠে আমার মা কালীকে কী ভোগ দেওয়া হয়, দেখে যান', 'সংঘিদের' তোপ মহুয়ার

যদিও রোষের মুখে পড়ে লীনা বলেছেন, ‘ভালোবাসাকে বেছে নিন, ঘৃণাকে নয়।’ তিনি দাবি করেছে, ‘কানাডার সংস্কৃতির বৈচিত্র্য নিয়ে ছবি বানানোর জন্য টরেন্টো মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির তরফে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। (সেজন্য) মা কালী ছবিটি আমি তৈরি করেছি। তাতে আমি অভিনয়ও করেছি।’ 

সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেন, 'একটি সন্ধ্যার গল্প নিয়ে এই ছবি তৈরি করেছি, যখন টরেন্টোর রাস্তায় মা কালী আবির্ভূত হন। যদি আপনি এই ছবিটা দেখেন তাহলে লীনা মানিমেকালাইকে গ্রেফতারির দাবি জানাবেন না। বলবেন, লীনা তোমায় আমরা ভালোবাসি। আমার কালী কথা বলবেন বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে। ভালোবাসা যে শ্রেষ্ঠ ধর্ম, সেই বার্তা দেবে।'

আরও পড়ুন: Mahua Moitra's comment on Goddess Kali: 'মা কালী আমার কাছে মাংস খাওয়া, মদ গ্রহণকারী দেবী', বললেন তৃণমূলের মহুয়া

মহুয়া মৈত্রের মন্তব্য

মঙ্গলবার ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভ ইস্ট অনুষ্ঠানে ‘কালী’ সিনেমার পোস্টার বিতর্ক নিয়ে মহুয়াকে প্রশ্ন করা হয়। সেখানে তিনি দাবি করেন, নিজের দেবদেবীকে কীভাবে দেখবেন, সেটা ব্যক্তিগত বিষয়। কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘আপনি যদি ভুটানে যান, বা উদাহরণস্বরূপ সিকিমে যান, তাঁরা সকালে পুজোর সময় দেবদেবীকে হুইস্কি দেন। এবার আপনি যদি উত্তরপ্রদেশে গিয়ে বলেন যে ভগবানকে প্রসাদ হিসেবে হুইস্কি দিচ্ছেন, তাহলে তাঁরা সেটাকে ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলবেন।’ সেই মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

বন্ধ করুন