রাত পোহালেই নবান্ন অভিযান। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিজেপি’র মধ্যে চূড়ান্ত পরিকল্পনা হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন যে, গেরিলা কায়দায় হবে নবান্ন অভিযান। যাতে টলে যাবে নবান্ন। এখানে নতুন খবর হল, এই নবান্ন অভিযানের নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় যুব মোর্চার সুপ্রিমো তেজস্বী সূর্য। তিনি নয়া দায়িত্বপ্রাপ্ত। বৃহস্পতিবার বাংলার যুব মোর্চার সভাপতি সৌমিত্র খানের সঙ্গে তিনি এসে যোগ দেবেন। তারপর বিচারের দাবিতে হাওড়া থেকে নবান্নের দিকে এগিয়ে যাবেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, যুব মোর্চার সভাপতি হিসাবে এটা প্রথম প্রতিবাদ মিছিল তেজস্বীর। বিজেপি সাতটি অ্যাজেন্ডা নিয়ে বাংলার সরকারকে টার্গেট করবে ঠিক করেছে। তার মধ্যে দুর্নীতি, টেট, কর্মসংস্থান–সহ বিজেপি নেতাদের খুনের ইস্যু রয়েছে। সম্প্রতি বিজেপি নেতা মণীশ শুক্লা় খুন হয়েছেন। সেটাও এদিন বাড়তি গুরুত্ব পাবে বলে খবর।
এই বিষয়ে তেজস্বী সূর্য বলেন, ‘বাংলার যুবক–যুবতীরা বড় সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপশাসন। এটাই উপযুক্ত সময় বাংলার ঐতিহ্যকে পুনঃরুদ্ধার করার। বাংলা পরিবর্তন চাইছে। আর বিজেপি হল যুবদের সেই কন্ঠস্বর।’ কিভাবে হবে এই প্রতিবাদ মিছিল থেকে নবান্ন ঘেরাও? দলীয় সূত্রে খবর, রাজ্যজুড়ে একাধিক জায়গায় থাকবে বিজেপি’র নেতা–নেত্রী, কর্মী–সমর্থকরা। সাঁতরাগাছি থেকে মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগোবেন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি, সায়ন্তন বসু, জ্যোতির্ময় মাহাতো–সহ আরও অনেকে। হেস্টিংস থেকে মিছিল নিয়ে এগোবেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় এবং বিরাট মিছিল নিয়ে নবান্নের দিকে এগোবেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
জানা গিয়েছে, প্রায় দু’লক্ষ মানুষ নিয়ে হবে নবান্ন ঘেরাও অভিযান। এখন করোনার জন্য বাস, ট্রেন সেভাবে চলছে না। তাই প্রতিটি মণ্ডলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ১০টি বাসের ব্যবস্থা করে কর্মীদের নিয়ে আসতে হবে নির্দিষ্ট জায়গায়। এদিন তেজস্বী সূর্য বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠাতা শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বাংলা থেকেই উঠে এসেছিলেন। আমরা বাংলার যুবদের কাছে অনেক ঋণী। আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বৈরাচারি শাসনের শেষ চাই এবং নতুন বাংলার সূচনা করতে চাই যুবদের মেধাকে নিয়ে।’