বছরের পর বছর নেই কোনও নিয়োগ। হাতে গোনা কর্মী দিয়ে কোনওক্রমে চলছে কাজ। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন কোমায় চলে গিয়েছে বলে চিঠি লিখলেন খোদ কমিশনেরই চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত। কেন কর্মী নিয়োগ হচ্ছে না তা নিয়ে রাজ্য সরকারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছেন তিনি।
রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান চিঠিতে লিখেছেন, ‘কর্মীর অভাবে কমিশনের দফতর লাইফ সাপোর্টে চলে গিয়েছে।’ তিনি জানিয়েছেন, ২০১৬ সালে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে এতদিনেও একজ আপ্তসহায়ক পাননি। এমনকী অবসর গ্রহণে বা বদলির জেরে খালি হওয়া পদগুলিও পূরণ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
গিরিশচন্দ্র গুপ্ত জানিয়েছেন, গত অগাস্টে কমিশনের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অবসর নিলে তাঁর জায়গায় একজন সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশ পদমর্যাদার আধিকারিককে বসানো হয়। কমিশনের চেয়ারম্যানকে না-জানিয়ে তাঁর অনুমতি না নিয়ে সেই পুলিশ আধিকারিককেও বদলি করে দেওয়া হয়। সেই পুলিশ আধিকারিকের আচরণ সম্পর্কেও রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে জানতে চেয়েছেন তিনি।
সঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যানের দাবি, কমিশনের অধিকাংশ কর্মীই কর্মবিমুখ। কমিশনের দফতরে আসাকে তারা ঐচ্ছিক ব্যাপারে পরিণত করেছেন। এব্যাপারে কোনও দায়বদ্ধতা নেই তাঁদের। রাজ্য সরকারকে তিনি লিখেছেন, মানবাধিকার কমিশনের দফতর চলছে কয়েকজন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী, ডেটা এন্ট্রি অপারেটর, স্টেনোগ্রাফার ও হাতে গোনা সক্রিয় কর্মীদের ভরসায়। তারাই কোমায় থাকা রোগীর দেখভাল করার মতো অফিস পরিচালনা করছেন।
এমনকী একবার কিছু কর্মী পাশের ঘরে ক্যারাম খেলার সময় চিৎকার করায় তাঁকে একটি মামলার শুনানি থামাতে হয়েছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। সেব্যাপারে গত ডিসেম্বরে তিনি অভিযোগ জানালেও জুলাই পর্যন্ত সেই অভিযোগ নথিভুক্তই হয়নি বলে অভিযোগ তাঁর।