বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > নেই বৈধ ছাড়পত্র , ক্যাব বুক করে ‘‌ঘুরতে’‌ যাচ্ছেন বহু যাত্রী, বিপাকে চালকেরা

নেই বৈধ ছাড়পত্র , ক্যাব বুক করে ‘‌ঘুরতে’‌ যাচ্ছেন বহু যাত্রী, বিপাকে চালকেরা

নেই বৈধ ছাড়পত্র , ক্যাব বুক করে ‘‌ঘুরতে’‌ যাচ্ছেন বহু যাত্রী, বিপাকে চালকেরা (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য সমী জানা/হিন্দুস্তান টাইমস)

অনেকেই হাসপাতালে যাওয়ার নাম করে ঘুরতে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ চালকদের।

বিধিনিষেধ শিথিল হলেও এখনও যাত্রী পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পূর্ণ সচল হয়নি। মেট্রো পরিষেবা এখনও বন্ধ রয়েছে। জরুরি কাজ থাকলে, ওলা-‌উবের ভাড়া করা যাচ্ছে। সেটি খতিয়ে দেখেই চালকরা কোনও যাত্রীকে গাড়িতে তুলতে পারবেন। তা না হলে, যে কোনও সময় মহামারী আইনের আওতায় পড়তে হতে পারে আইনি জটিলতার মুখে। শুধু যাত্রীই নয়, চালকদেরও মোটা অঙ্কের জরিমানা গুনতে হতে পারে।

এখানেই চালকরা একাংশের যাত্রীদের গা ছাড়া মনোভাবের অভিযোগ তুলেছে। চালকদের অভিযোগ, বেশ কিছু যাত্রীরা শুধু বন্ধুর বাড়ি কিংবা আত্মীয়দের বাড়িতে যাচ্ছেন, কিন্তু তার জন্য হাসপাতালে যাওয়ার অজুহাত দিয়ে ক্যাব বুক করছেন। তাঁদের কাছে কোনও বৈধ নথি থাকছে না। অভিযোগ, গাড়িতে ওঠার সময় নথি দেখতে চাইলে অভব্য আচরণের শিকার হচ্ছেন চালকরা। এমনকী যাত্রীরা ক্যাব সংস্থায় চালকের বিরুদ্ধে যাত্রী প্রত্যাখানের অভিযোগ জানাচ্ছেন। আর অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলো বিষয়টি খতিয়ে না দেখে একতরফা চালকদের আইডি ব্লক করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ তাঁদের। এমনকী, যাত্রীদের নথি খতিয়ে দেখার কোনও ব্যবস্থা না করেই, অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলো শুধু সতর্কবার্তা দিয়েই দায় সারছে বলে অভিযোগ চালকদের।

আবার কোনও অবৈধ ভ্রমণকারী যাত্রীর চাপে পড়ে কোনও চালক তাঁদের গন্তব্যে নিয়ে যেতে গিয়ে মোটা অঙ্কের জরিমানাও গুনতে হচ্ছে তাঁদের। এই ষাঁড়াশি চাপে পড়ে নাজেহাল অবস্থা হচ্ছে চালকদের। এ প্রসঙ্গে লাক্সারি ট্যাক্সি অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক তন্ময় কুণ্ডু বলেন, ‘‌ই-পাস বা প্রয়োজনীয় নথি ছাড়াই এক শ্রেণির যাত্রীরা গাড়িতে সফর করতে চাইছেন। তাঁরা হাসপাতালে যাওয়ার নামে মিথ্যা বলে বুকিং করছেন। অথচ যাচ্ছেন বন্ধু, আত্মীয়দের বাড়ি। বাধা দেওয়া হলে তাঁরা সরাসরি অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলোর কাছে অভিযোগ দায়ের করছেন। ফলে, চালকদের আইডি ব্লক করে দিচ্ছে সংস্থাগুলো। আবার চাপে পড়ে যদি কোনও চালক যাত্রীদের নিয়েও যান সেক্ষেত্রে মহামারী আইনে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা গুনতে হচ্ছে তাঁদের। শহরে ৪০ হাজার গাড়ি বসে রয়েছে। কতিপয় কয়েকটা ভাড়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমরা কোথায় যাব? কীভাবে ‌আমাদের সংসার চালাব ভেবে পাচ্ছি না। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী ও পরিবহণমন্ত্রীকে গাড়ির ট্যাক্স, পারমিট ও সিএফের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার আবেদন জানিয়েছি।তাছাড়া আমরা ওলা-‌উবেরকে আবেদন জানিয়েছি, যাতে তারা ৩০-‌৩৫ শতাংশ যে কমিশন চালকদের কাছ থেকে নেয় সেই পরিমাণ কমাতে।’‌

বন্ধ করুন