বাজারে গিয়ে আমজনতার এখন একটাই চিন্তা আলুর দাম কিছুতেই কমছে না। এসবের মধ্যেই আশার কথা হল আলু ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হল। বৃহস্পতিবার থেকে বাজারে আলু যাবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতি এনিয়ে বিশেষ আশ্বাস দিয়েছে।
কেন আলু ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছিল?
আলুর রফতানি হচ্ছিল ভিনরাজ্যে। এদিকে এনিয়ে সিএমওর কাছে বিশেষ তথ্য় ছিল না। এদিকে আলু কেন ভিনরাজ্যে রফতানি করা হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্য়মন্ত্রী। এরপর আলু রফতানিতে রাশ টানা হয়েছিল। মুখ্য়মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যের প্রয়োজন মেটানোর পরেই আলু রফতানি করা যাবে। এদিকে একদিকে যখন সরকার রাশ টানে আলু রফতানিতে তখনই পালটা আলু ধর্মঘটের ডাক দিয়েছিলেন আলু ব্যবসায়ীরা।
এদিকে ধর্মঘট শুরু হতেই রাজ্য জুড়ে আলুর দাম বাড়তে থাকে। একদিকে যখন মুখ্য়মন্ত্রী দাম কমানোর জন্য ভিনরাজ্যে আলু রফতানিতে রাশ টেনেছিলেন তখনই পালটা ধর্মঘট ডেকে আলুর দাম বাড়িয়ে দেওয়া হল। এমনটাই মত অনেকের।
তবে এরপরই মঙ্গলবার কৃষি বিপননমন্ত্রী বেচারাম মান্না ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকেই আপাতত আশ্বাস মিলেছে যে আলু ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব মুখ্য়মন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। এরপরই ধর্মঘট প্রত্য়াহার করেন ব্যবসায়ীরা। তবে ব্যবসায়ী সমিতি জানিয়েছে, মন্ত্রী আমাদের দাবি পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন। ধর্মঘটের ফলে আলুর দামও বেড়েছে। মন্ত্রীর আশ্বাস ও সাধারণ মানুষের অবস্থার কথা মাথায় রেখে ধর্মঘট তুলে নেওয়া হল।
এদিকে সম্প্রতি আলুর দাম বৃদ্ধি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তিনি বলেছিলেন, , বাংলার আলু বাইরে চলে যাচ্ছে। বাংলার আলু বর্ডার দিয়ে বাইরে চলে যাচ্ছে। দালালরা সমাজকে শেষ করে দিচ্ছে। বাংলার আলুর দাম বাড়িয়ে মুনাফা বৃদ্ধি করা চলবে না। অ্যান্টি কোরাপশন ব্যুরোকে শক্তিশালী হতে হবে।
টাস্ক ফোর্সকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা।
তিনি বলেছিলেন, আমার এক পয়সাও চাই না। আমি বার বার বলছি। আমার নির্বাচনের জন্য দরকার হলে আঁচল পেতে টাকা নেব। আজ পর্যন্ত বলতে পারবে না সরকারের কাজে এক পয়সা নিয়েছি। কারোর কাছ থেকে। একই আইন..আইন সকলের উপর সমানভাবে প্রয়োগ করা দরকার।
‘সংবাদমাধ্যমে বলছি পজিটিভভাবে দেখুন। নেগেটিভ বলে দেখার চেষ্টা করবেন না। তাহলে তো স্বচ্ছতা মেনটেন করে কোনও কাজ করতে পারব না। ’
মমতা বলেছিলেন, ‘আমাদের ৫০ শতাংশ যদি বাইরে বিক্রি হয়ে যায়! আমরাই টাকা দেব, জমি উর্বর করার জন্য টাকা দেব, সংরক্ষণের জন্য টাকা দেব…যারা চাষি তারা করে না। যারা মিডলম্যান আছে তারা এসব করে। যারা দালালি করে সমাজটাকে শেষ করে দিল। দালালির টাকা একে ওকে তাকে ভাগ দেয়। এটা যাতে না হয়, সকলকে এনিয়ে টেক কেয়ার করতে হবে। অ্যান্টি করাপশনকে শক্তিশালী করো। সিআইডিকে ফের ঢেলে সাজাব। কমপ্লেন এলে ক্রশ চেক করো। অনেক সময় ভুল অভিযোগও আসে। ’
তবে এবার বৃহস্পতিবার থেকে আলুর দাম কমবে কি না সেটাই দেখার।