শাহজাহানকে নিয়ে সিবিআই আর সিআইডির মধ্য়ে দড়ি টানাটানি চরমে উঠেছিল। আর সন্দেশখালি নিয়েও এবার বিজেপি আর তৃণমূলের মধ্য়ে দড়িটানাটানি চরমে। বুধবারই বারাসতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মিটিংয়ের গিয়েছিলেন সন্দেশখালির মহিলারা। মুখ ঢেকে তাঁরা মিটিংয়ে যোগ দিয়েছিলেন।
আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে বৃহস্পতিবার মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের মিটিংয়েও এলেন সন্দেশখালির মহিলারাও। মিছিলেও হাঁটলেন কয়েকজন। কিন্তু তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধেই তো সুর চড়াতেন তাঁরা। তাহলে তৃণমূলের মিটিংয়ের কেন? প্রশ্ন শুনেই হেসে ফেলেন এক মহিলা। কিছুটা অস্বস্তিতে।
এরপর তিনি বলেন, আমাদের হারানো জমি ফেরত পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। আমরা দিদির সঙ্গেই রয়েছি।
নারীদিবসের আগের মিছিলে যোগ দিলেন সন্দেশখালি থেকে আসা মহিলারা। নেত্রীর সঙ্গে কলকাতার রাস্তায় হাঁটলেন তাঁরা। আর সন্দেশখালি প্রসঙ্গেও বৃহস্পতিবার সভামঞ্চ থেকে মুখ খুললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
নেত্রী বলেন, আমি সকলকে বলি সব ভালো যার শেষ ভালো যার। সন্দেশখালি নিয়ে অনেকে আবার ভুয়ো সন্দেশও দিয়েছেন। বাংলায় মিষ্টি। আর সন্দেশকে বলে হিন্দিতে সংবাদও। কয়েকটা ঘটনা নিয়ে… হতে পারে হাতের পাঁচটা আঙুল তো সমান নয়। কিছু কিছু জায়গায় অনেক সময় আমাদের নলেজে থাকে না। ।দি কোথাও কিছু অন্যায় হলে নলেজে এলেই আমরা সঙ্গে সঙ্গে অ্য়াকশন নিই। তৃণমূলকে গ্রেফতার করতে কার্পণ্য় করি না। বিজেপির কাজ একটাই তৃণমূলকে কেস দাও। ইডি লাগাও, সিবিআই লাগাও। আমি তাদের বলি বাংলা নিয়ে আপনাদের গুস্সা কেন? বদনাম কিউ করতে হ্যায়! বিজেপি নেতারা বলে গেলেন, এখানে নাকি মহিলারা নির্যাতিতা হন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি বেঙ্গল ইস দ্য সেফেস্ট স্টেট। বিহারে বিচার হয় না। ইউপিতে, রাজস্থানে, হাথরাসে বিচার হয় না। মণিপুরে যখন জ্বলছিল.. তখন কোথায় ছিলেন বিজেপি নেতারা?
কার্যত সন্দেশখালির ঘটনার কথা পরোক্ষে স্বীকার করে নিয়েও নেত্রী এদিন জানিয়ে দেন নলেজে ছিল না। কিন্তু বিরোধীদের একাংশের দাবি, সব কিছু নলেজে থাকে বলেই এতদিন দাবি করতেন তৃণমূল নেত্রী। সেক্ষেত্রে কেন সন্দেশখালির কথা তাঁর কাছে ছিল না এটা বিষ্ময়ের।
এদিকে সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে বুধবারই দেখা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর সেই মহিলারা সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছিলেন, আমরা গিয়ে নমস্কার করেছিলাম। মোদী বললেন আপনাদের নমস্কার করা দরকার। আপনারা মা দুর্গা। তিনি আমাদের কথা শুনলেন। একজন আধিকারিককে লিখে নিতে বললেন। কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাবেন বলেছেন। কোনও সমস্যা হবে না বলে তিনি জানিয়েছেন। জমি লুঠের কথা জানিয়েছি আমরা। কীভাবে শাহজাহান, শিবু হাজরা, উত্তম সর্দারদের বাইক বাহিনী এলাকায় দাপিয়ে বেড়াত সেসব কথা মহিলারা মোদীর কাছে তুলে ধরেন।