বেলেঘাটায় একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রৌঢ়ার রক্তাক্ত দেহ। প্রৌঢ়ার এই মৃত্যুর পিছনে তাঁর মেয়ে ও জামাইকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যদিও তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জামাই। তবে কী কারণে প্রৌঢ়ার মৃত্যু তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটেনি।
জানা গিয়েছে, বেলেঘাটার হরিমোহন ঘোষ লেনের বাসিন্দা ছিলেন অঞ্জলি দে। মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গেই থাকতেন তিনি। শনিবার সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে পুলিশ। দেহটিকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পেরেছে, অনেকদিন ধরেই মেয়ে ও জামাই ওই প্রৌঢ়ার ওপর অত্যাচার করতেন। বাড়ির সব কাজকর্ম ওই প্রৌঢ়াকে দিয়েই তাঁরা করাতেন বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এই অত্যাচারের কথা প্রৌঢ়া যাতে কাউকে বলতে না পারেন, সেজন্য অন্য কারও সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দিতেন না বলে স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন।
যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের যাবতীয় অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছপ্রৌঢ়ার ঢ়ার জামাই। তাঁর দাবি, তাঁর স্ত্রী প্রতি যথেষ্টই যত্ন নিতেন। প্রৌঢ়ার ওপর কোনওভাবেই অত্যাচার করা হত না। ইতিমধ্যে পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে এলেই পুলিশ নিশ্চিত হবে, ঠিক কী কারণে ওই পৌঢ়ার মৃত্যু হয়েছে।