ট্যাংরায় অ্যাম্বুল্যান্সের চাকায় বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় বৃহস্পতিবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। পুলিশ অভিযুক্তদের কাছ থেকে ঘুষ খেয়ে মামলা দুর্বল করে দিচ্ছে। এই অভিযোগে এদিন দুপুরে পথ অবরোধ করেন স্থানীয় মহিলারা। তাদের প্রত্যেকের হাতে ছিল টাকা। মহিলাদের দাবি, ওরা ঘুষ দিতে পারলে আমরাও পারি। কিন্তু মঙ্গলবার রাতের ঘটনার বিচার চাই।
এদিন দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ক্ষোভে ফুটছেন মহিলারা। পুলিশের দাবি, অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় বৃদ্ধের মৃত্যুর সত্যতা থাকলেও পুত্রবধূকে অপহরণের চেষ্টার অভিযোগ ভুয়ো। আর এতেই ক্ষোভ ছড়িয়েছে স্থানীয় মহিলাদের মধ্যে। বৃহস্পতিবার ড্রাম ফেলে গোবিন্দ খটিক রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা।
এক বিক্ষোভকারীর কথায়, ‘ওরা ঘুষ দিয়েছে। তাই পুলিশ মামলা দুর্বল করে দিচ্ছে। আমরাও পুলিশকে ঘুষ দিতে পারি। আমরা চাঁদা তুলে পুলিশকে ওর থেকে বেশি ঘুষ দেব।’ অভিযোগকারীনির প্রশ্ন, ‘কুমতলব না থাকলে মহেশতলার অ্যাম্বুল্যান্স ট্যাংরায় কী করছিল?’ যদিও নিজের অবস্থানে অনড় পুলিশ।
একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ করে ট্যাংরা থানার তরফে দাবি করা হয়েছে, ১০ সেকেন্ডের মধ্যে এলাকা ছেড়েছে গাড়িটি। এই ১০ সেকেন্ডে অপহরণ কী করে সম্ভব?
বলে রাখি, মঙ্গলবার রাত ১১.৩০ মিনিট নাগাদ ট্যাংরার ক্রিস্টফার রোডে অ্যাম্বুল্যান্সের ধাক্কায় মৃত্যু হয় এক বৃদ্ধের। পরিবারের দাবি, নিমন্ত্রণ রক্ষা করে সপরিবারে ফিরছিলেন গোপাল প্রামাণিক নামে ওই বৃদ্ধ। সেই সময় তাঁর পুত্রবধূকে অপহরণের চেষ্টা করে অ্যাম্বুল্যান্সে থাকা ২ যুবক। তাদের বাধা দিলে বৃদ্ধের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয় অভিযুক্তরা। ঘটনায় ২ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে শিয়ালদা আদালতে পেশ করেছে পুলিশ।