ভোটার কার্ড বা আধার কার্ডে নাম না থাকলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা মিলবে না বলে অনেকের মধ্যেই ধারণা রয়েছে। সেই বিষয়টি এবার স্পষ্ট করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারও যদি এই দুটি পরিচয় পত্রে নাম না থাকে তারাও লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাবেন। বুধবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে একটি অনুষ্ঠান থেকে এ কথা সাফ জানিয়েদিলেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাওয়ার জন্য তিনি দুয়ারে সরকারের শিবিরে গিয়ে মহিলাদের আবেদন জানাতে বলেছেন।
এদিন নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ভূমি ও রাজস্ব দফতরের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে অনেকেই ভুলভাল কথা ছড়াচ্ছে। আধার কার্ডে বা ভোটার কার্ডে নাম না থাকলে না কি লক্ষ্মীর ভান্ডার পাওয়া যাবে না। এইসব কথা বলা হচ্ছে। এসব বাজে কথা। আমরা ওসব মানি না। ভোটার কার্ড বা আধার কার্ড না করালে যে লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা পাবে না বাংলা থেকে ওসব বলা হবে না।’ মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তি পেলেন অনেকেই। কারণ এখনও অনেক মহিলার আধার কার্ড বা ভোটার কার্ডে নাম নেই। ফলে তাঁরা আবেদন করতে পারছিলেন না। স্বাভাবিকভাবে তারাও যে এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন তা মুখ্যমন্ত্রীর এ দিনের বক্তব্যে স্পষ্ট হয়ে গেল।
সম্প্রতি বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, রাজ্য সরকারের ভাঁড়ার শূন্য। আগামী দিনে লক্ষ্মীর ভান্ডার দেওয়া তো দূরের কথা সরকারি কর্মীদের বেতনও দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হবে। বিরোধীদের এই মন্তব্যেরও জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘আমি মানুষের জন্য জীবন পর্যন্ত দিতে পারি। মানুষের সঙ্গে বেইমানি করে আমি রাজনীতি করি না, করব না। আমি মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ পছন্দ করি না। ’ প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পের টাকা নিয়ে কেন্দ্র রাজ্যের টানা পোড়েন চলছে। এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘রাজনীতির নাম করে বাংলাকে বদনাম করা হচ্ছে। আর বাংলার নামে চিঠি পাঠিয়ে বলা হচ্ছে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবেন না। যারা এই চিঠি লিখছে তাদের নাম বলতে লজ্জা লাগছে। তাদের ধিক্কার জানাচ্ছি।’