লোকসভা নির্বাচন মিটতেই জেলায় জেলায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে। কোথাও বোমাবাজি, মারধর, হুমকি আবার কোথাও গুলি চালানো বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। দিকে দিকে আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা। ঠিক সেই আবহে এবার বোমাবাজিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল খাস কলকাতার কসবার রাজডাঙা ইন্দুপার্ক। চলল গুলি। দুপক্ষের সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন একজন। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তার ভিত্তিতে গ্রেফতার হয়েছে ৫ জন। যদিও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরণে উড়ল টালির চাল, পড়ল দেওয়াল, মুর্শিদাবাদের রেজিনগরের পর এবার বেলডাঙা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত পৌনে ১০টা নাগাদ আচমকা একদল দুষ্কৃতী বোমাবাজি করতে শুরু করে। সেইসঙ্গে দু-তিন রাউন্ড গুলিও চালানো হয় বলেও অভিযোগ। সেই ঘটনার জেরে আহত হয়েছেন রুমা সমাদ্দার নামে এক মহিলা। তিনি কসবার পি মজুমদার রোডের ফ্ল্যাটে থাকতেন। একটি বাইকে গুলি লেগেছে। সেই বাইকে বুলেটের দাগ রয়েছে। ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন গোটা এলাকার বাসিন্দার। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় কসবা থানার পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেছে দেখা যায় ৩০ জন যুবক ওই এলাকায় দৌড়ে যাচ্ছিল। সেই সময় বোমাবাজি এবং গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে।
এই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর এই ঘটনার জন্য বর্তমান কাউন্সিলরের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর অভিযোগ, ১০৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর লিপিকা মান্নার এলাকার দুষ্কৃতীদের ওপর কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই। তাই এখানে বোমাবাজির ঘটনা লেগেই থাকে। অভিযোগ উঠেছে, এলাকায় বিশেষ কোনওরকম সুযোগ-সুবিধা দিতে চান না কাউন্সিলর। তিনি মানুষের জন্য কিছুই করেন না। তাই এখানকার মানুষ ওকে চায় না।
উল্লেখ্য, ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ আগে ১০৭ ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর ছিলেন। এখন তাঁকেই এলাকার লোকজন কাউন্সিলর হিসেবে চাইছেন বলে স্থানীয়দের একাংশের দাবি। এই নিয়ে সেখানে তৃণমূলের মধ্যেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে দাবি একাংশের। স্থানীয়দের অভিযোগ, লিপিকা মান্না এবং সুশান্ত ঘোষের লোকজনের মধ্যেই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। অভিযোগ, লিপিকা মান্নার লোকজন এদিন বোমাবাজি করার পাশাপাশি গুলি চালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে গুলির খোল। উল্লেখ্য, ইন্দুপার্ক এলাকায় শনিবার রাতেও বোমাবাজির ঘটেছে। সেখানে মহিলাদের মারধর করা হয়েছে। ঘটনায় থানায় অভিযোগও দায়ের হয়েছে।