ফের মেট্রোয় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা। সন্তানের সামনেই মেট্রোর লাইনে ঝাঁপ দিলেন এক মহিলা। তবে ট্রেন দাঁড়িয়ে যাওয়ায় প্রাণে বাঁচেন তিনি। শেষে মেট্রোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মহিলা উদ্ধার করেন মেট্রোর কর্মীরা। তারপরে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। এই ঘটনার জেরে বেশ কিছুক্ষণ মেট্রো পরিষেবা থমকে যায়। প্রায় ১ ঘণ্টা পর পুনরায় মেট্রো পরিষেবা শুরু হয়। আজ সকাল ১০টা ৫৪ মিনিট নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে। এরফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আরও পড়ুন: মেট্রোয় আত্মহত্যার চেষ্টা ব্যক্তির, ভোগান্তি যাত্রীদের
জানা গিয়েছে, পার্ক স্ট্রিটের একটি স্কুলের পড়ুয়া মহিলার বছর সাতেকের মেয়ে। স্কুল ছুটির পর তিনি মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় চাঁদনি চক মেট্রো স্টেশনে ঢোকেন। মহিলার সঙ্গে তাঁর পরিচিত কয়েকজনও ছিলেন মেট্রো স্টেশনে। এরপর দক্ষিণেশ্বরগামী একটি ট্রেন স্টেশনে ঢোকার ঠিক আগেই তিনি লাইনে ঝাঁপ দেন। এরপরেই ট্রেন দাঁড়িয়ে পরে। এরফলে ট্রেনটির বেশিরভাগ অংশ সুড়ঙ্গের ভিতর আটকে পড়ে । তাতে যাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায়। এদিকে, ওই মহিলা লাইনে আটকে পড়েন। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দিয়ে মহিলাকে উদ্ধারে ঝাঁপিয়ে পড়েন মেট্রোর কর্মীরা। তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্টেশনমাস্টারের ঘরে। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। চোখের সামনে মাকে ঝাঁপ দিতে দেখে কান্নায় ভেঙে পরে বছর সাতেকের মেয়েটি। অন্যদিকে, মহিলার পরিচিতরাও এমন কাণ্ডে কার্যত স্তম্ভিত হয়ে যান। আতঙ্কে কাঁদতে শুরু করে অন্যান্য স্কুল পড়ুয়ারাও।
পরে মহিলাকে উদ্ধার করে তাঁর স্বামীর সঙ্গে মেট্রোর কর্মীরা ফোনে যোগাযোগ করেন। খবর পেয়ে তিনি চাঁদনি চক স্টেশনে পৌঁছন। যদিও মহিলা কী কারণে এমন পদক্ষেপ করতে গেলেন সে বিষয়ে কিছুই জানা যায়নি। তবে মহিলার আত্মহত্যার চেষ্টার ফলে মেট্রো পরিষেবা ব্যাহত হয়। আপ এবং ডাউন লাইনে গিরিশ পার্ক থেকে ময়দান স্টেশন পর্যন্ত সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয় পরিষেবা। এরফলে চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
অন্যদিকে, দক্ষিণেশ্বরগামী ওই ট্রেন থেকে যাত্রীদের ধীরে ধীরে বাইরে আনা হয়। সবমিলিয়ে প্রায় ১ ঘণ্টা মতো ব্যাহত থাকে মেট্রো পরিষেবা। বেলা ১১.৫০ টা নাগাদ ব্লু লাইনে মেট্রো পরিষেবা স্বাভাবিক হয়েছে বলে মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে।