দমদম বিমানবন্দরে দুর্ঘটনায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীর মৃত্যুতে বিক্ষোভ দেখালেন অন্য কর্মীরা। শনিবার এয়ারপোর্টে এয়ার ইন্ডিয়ার অফিসের সামনে ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের দাবি, স্থায়ী কর্মীদের মতো কাজ করলেও তাঁদের পারিশ্রমিক নগন্য। অন্য কোনও জিনিসেরও খেয়াল রাখে না এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার বিকেলে দমদম বিমানবন্দরে ট্রাক্টর উলটে মৃত্যু হয় চুক্তিভিত্তিক কর্মী সঞ্জিত রায় নামে এক চালকের। এর পরই বিক্ষোভ দানা বাঁধতে থাকে। অভিযোগ, আহত সঞ্জিতকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা পর্যন্ত করেনি এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষ। শনিবার রাতে তাঁর মৃত্যু হলে সকালে শুরু হয় বিক্ষোভ। কর্মীদের অভিযোগ, দমদম বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার মাত্র ১৯ জন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন। সেখানে অস্থায়ী কর্মীর সংখ্যা প্রায় ১,৬০০। তাদের সামান্য পারিশ্রমিকে কাজ করানো হয়। পুরনো বাতিল গাড়ি চালাতে হয় তাঁদের। এমনকী স্থায়ী কর্মীরা করোনার টিকা পেলেও টিকা পাননি অস্থায়ী কর্মীরা। কোনও কারণে কোনও যন্ত্র ভাঙলে তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করে কর্তৃপক্ষ। এদিন বিক্ষোভকারীরা সঞ্জিতবাবুর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে দাবি করেন।
কর্মীদের দাবিকে সমর্থন করেছেন ইউনিয়নের সভাপতি তথা দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, ‘কর্মীদের কোনও সুযোগ সুবিধা দেয় না ঠিকাদার সংস্থা। উলটে তাদের থেকে অতিরিক্ত সময় কাজ করিয়ে নেয়।’