একুশের নির্বাচনের পর থেকে একটি নির্বাচনেও জিততে পারেনি বিজেপি। বরং ক্রমাগত হেরো পার্টিতে পরিণত হয়েছে। আর রাস্তায় নেমে আন্দোলন করার জায়গায় আদালত এবং রাজভবন নির্ভর হয়ে পড়ছে রাজ্য বিজেপি। তাই সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। অমিত শাহ এসে সম্প্রতি আত্মনির্ভরতার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু তারপরও সামান্যতমও বদলায়নি অবস্থা। বরং আবার গোহারা হেরেছে বঙ্গ–বিজেপি। যার জবাব চাইতে চলেছে শাহ–নড্ডা।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? জানা গিয়েছে, নানা পুরসভা এলাকার ছ’টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে ভোটপ্রাপ্তির হিসাব বলছে, বিজেপি তৃতীয় স্থানে। এই পরাজয় তখনই হয় যখন সংগঠন তলানিতে গিয়ে পৌঁছয়। যার জন্য বাম–কংগ্রেস জায়গা করে নিয়েছে। এই ফলাফলে মোটেও খুশি নন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা। এখন বাংলায় বিজেপিকে নিজের পায়ে দাঁড় করাতে কী করণীয় সেই প্রশ্নের জবাব চান অমিত শাহ–জেপি নড্ডারা।
কাদের কাছে কৈফিয়ত চাওয়া হবে? সূত্রের খবর, সুকান্ত–শুভেন্দুদের এই হারের বিষয়ে কৈফিয়ত তলব করা হবে। আগামী শনিবার থেকে হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক শুরু হচ্ছে। সেখানে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এই হার নিয়ে কৈফিয়ত তলব করতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
কেমন অবস্থা হয়েছে বিজেপির? জিটিএ থেকে শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচনে পদ্ম ফোটেনি। দার্জিলিং, কার্শিয়াং, শিলিগুড়ি, নকশালবাড়ি এবং মাটিগাড়ার মতো পদ্ম–গড়ে পাপড়িরও দেখা মেলেনি। এমনকী দক্ষিণবঙ্গে ছ’টি পুরসভার ছ’টি ওয়ার্ডের উপনির্বাচনে তৃতীয় স্থানে পৌঁছে গিয়েছে। দমদম, দক্ষিণ দমদম, পানিহাটি, ভাটপাড়া, চন্দননগর এবং ঝালদার ওয়ার্ডে উপনির্বাচন হয়। কোথাও ফোটেনি পদ্ম। তাই কেন্দ্রীয় গেরুয়া নেতৃত্ব জানতে চায়, সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশে নির্বাচন হলেও এই বিজেপি তৃতীয় স্থানে চলে গেল কেন?