প্রবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে বিরোধীদের ভূমিকার তুমুল সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে তিনি বলেন, দায়িত্ব না নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন বিরোধীরা।
এদিন বিরোধীদের একসুতোয় বেঁধে আক্রমণ শানান মমতা। বলেন, ‘আমরা একটা প্ল্যান করেছি। এদের অনেককে আমরা নিয়েও এসেছি। কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। প্লিজ দয়া করে নাববেন না। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমাদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা ক্ষমতায় নেই তাই দায়বদ্ধতাও নেই। যা-তা বলে দিচ্ছেন।’
বিরোধীরা ভুল তথ্য পরিবেশন করছেন বলেও দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেউ বলে দিচ্ছে ২০ লাখ – ২৫ লাখ, এটা ঠিক নয়। সংখ্যাটা তো আমাদের কাছেও থাকবে। শুধু বাংলার লোকেরাই সারা ভারতবর্ষে ছিল আর ভারতবর্ষের লোকেরা আমাদের এখানে নেই, এটা ভাবা ভুল। আমার এখানেও হিন্দিভাষী লোকের সংখ্যা ৪০ শতাংশের কম নয়, এটা মাথায় রাখবেন। তারাও তো আমাদের দেশের কোনও প্রান্তের লোক। আমরা সবাই চাই এখানে থাকুক, ভাল থাকুক। তেমনি আমাদেরও পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা আছেন তাদের খেয়াল রাখার জন্য সব রাজ্যকে অনুরোধ করব।’
বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘১০টা করে ট্রেন ঢুকলেও রোজ ২৫-৩০ হাজার করে লোক ঢুকবে। শুধু ট্রেনে। বাসটাস ছেড়ে দিন। ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমরা প্ল্যান করে রেখেছি। রোজ আমাদের ১০টা করে ট্রেন ঢোকাতে হবে। তার পর তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর জেলায় এগুলো ঢুকবে, ওই রাজনৈতিক বন্ধুরা যারা বড় বড় কথা বলছেন, তারা এগুলো ভেবে দেখেছেন, সেই জেলার সবাই যেন ভাল থাকে সেটাও তো দেখতে হবে। আমি যদি হাজার হাজার করোনা ঢুকিয়ে দিই, তাহলে মানুষ আমাকে ক্ষমা করবে?’
সঙ্গে বামেদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আমার তো কোনও আপত্তি নেই। করোনা ছাড়া সুস্থ হয়ে সবাই আসুক। আমাদের যা যা সহযোগিতা করার আমরা সব করব। কিন্তু কোনও কোনও রাজনৈতিক দল হঠাৎ এই সময় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে বড়বড় ভাষণ দিচ্ছেন। টিটকিরি করছেন, লোককে পোরোচনা দিচ্ছেন। উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। তারা যখন পাওয়ারে ছিলেন কী কী করেছেন আমার জানা আছে।’
বলে রাখি, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী নন বলে একযোগে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পালটা বিরোধীদের উদ্দেশেই আক্রমণ শানিয়ে বোঝালেন, এত সহজে বাজি জিততে দেবেন না তিনি।
প্রবাসী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানো নিয়ে বিরোধীদের ভূমিকার তুমুল সমালোচনা করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে তিনি বলেন, দায়িত্ব না নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন বিরোধীরা।
এদিন বিরোধীদের একসুতোয় বেঁধে আক্রমণ শানান মমতা। বলেন, ‘আমরা একটা প্ল্যান করেছি। এদের অনেককে আমরা নিয়েও এসেছি। কেউ কেউ ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমেছেন। প্লিজ দয়া করে নাববেন না। আমরা ক্ষমতায় আছি, আমাদের দায়বদ্ধতা ও দায়িত্ব রয়েছে। আপনারা ক্ষমতায় নেই তাই দায়বদ্ধতাও নেই। যা-তা বলে দিচ্ছেন।’
বিরোধীরা ভুল তথ্য পরিবেশন করছেন বলেও দাবি করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, ‘কেউ বলে দিচ্ছে ২০ লাখ – ২৫ লাখ, এটা ঠিক নয়। সংখ্যাটা তো আমাদের কাছেও থাকবে। শুধু বাংলার লোকেরাই সারা ভারতবর্ষে ছিল আর ভারতবর্ষের লোকেরা আমাদের এখানে নেই, এটা ভাবা ভুল। আমার এখানেও হিন্দিভাষী লোকের সংখ্যা ৪০ শতাংশের কম নয়, এটা মাথায় রাখবেন। তারাও তো আমাদের দেশের কোনও প্রান্তের লোক। আমরা সবাই চাই এখানে থাকুক, ভাল থাকুক। তেমনি আমাদেরও পরিযায়ী শ্রমিক যাঁরা আছেন তাদের খেয়াল রাখার জন্য সব রাজ্যকে অনুরোধ করব।’
বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, ‘১০টা করে ট্রেন ঢুকলেও রোজ ২৫-৩০ হাজার করে লোক ঢুকবে। শুধু ট্রেনে। বাসটাস ছেড়ে দিন। ১৫-২০ দিনের মধ্যে আমরা প্ল্যান করে রেখেছি। রোজ আমাদের ১০টা করে ট্রেন ঢোকাতে হবে। তার পর তাকে বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে। তারপর জেলায় এগুলো ঢুকবে, ওই রাজনৈতিক বন্ধুরা যারা বড় বড় কথা বলছেন, তারা এগুলো ভেবে দেখেছেন, সেই জেলার সবাই যেন ভাল থাকে সেটাও তো দেখতে হবে। আমি যদি হাজার হাজার করোনা ঢুকিয়ে দিই, তাহলে মানুষ আমাকে ক্ষমা করবে?’
সঙ্গে বামেদের কটাক্ষ করে মমতা বলেন, ‘আমার তো কোনও আপত্তি নেই। করোনা ছাড়া সুস্থ হয়ে সবাই আসুক। আমাদের যা যা সহযোগিতা করার আমরা সব করব। কিন্তু কোনও কোনও রাজনৈতিক দল হঠাৎ এই সময় ঘোলা জলে মাছ ধরতে নেমে বড়বড় ভাষণ দিচ্ছেন। টিটকিরি করছেন, লোককে পোরোচনা দিচ্ছেন। উত্তেজনা ছড়াচ্ছেন। তারা যখন পাওয়ারে ছিলেন কী কী করেছেন আমার জানা আছে।’
বলে রাখি, ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের বাড়ি ফেরাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্যোগী নন বলে একযোগে সরব হয়েছে বাম-বিজেপি-কংগ্রেস। যদিও সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন পালটা বিরোধীদের উদ্দেশেই আক্রমণ শানিয়ে বোঝালেন, এত সহজে বাজি জিততে দেবেন না তিনি।