অপরাজিতা বিল। ধর্ষণবিরোধী কড়া আইন আনছে রাজ্য। মঙ্গলবার এই বিল পাশ করা হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। ধর্ষণের মামলায় কড়া শাস্তির বিধান রয়েছে এই বিলে। একেবারে কঠোরতম শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে এই বিলে।
এই অপরাজিত বিল প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বিধানসভায় নানা প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। বিল সম্পর্কে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ডের বিধান আনা হয়েছে এই বিলে। আদালতের অনুমতি ছাড়া মহিলা ও শিশুর পরিচয় যাতে সামনে না আসে সেটাও বিলে বলা হয়েছে। এই ক্ষেত্রেও ৩-৫ বছরের সাজার প্রস্তাব রাখছি। জানিয়েছেন মমতা।
এদিকে এদিন বিরোধীরা বার বারই দাবি তোলেন দফা এক দাবি এক মমতার পদত্যাগ। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার কোনও সদিচ্ছা নেই সরকারের। পুরোটাই লোক দেখানো।
এদিকে পদত্যাগের দাবির কথা শুনেই মমতা বলেন, নরেন্দ্র মোদীকে আগে পদত্যাগ করতে বলুন।
মমতা বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারই বলছে কলকাতা সবথেকে নিরাপদ শহর। উত্তরপ্রদেশে ৭ লাখ, গুজরাটে ৫ লক্ষ নারী নির্যাতন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা ঘটনা ঘটাও উচিত নয়।
মমতা বলেন, দেশে ধর্ষণের মতো ঘটনায় শাস্তির সংখ্য়া খুব কম। ৭৬ শতাংশ ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত করে চার্জশিট পেশ করেছে। মাত্র ২.৫৬ শতাংশ ক্ষেত্রে অপরাধী দোষী সাব্যস্ত হয়েছে।
বাংলার নামে সবাই কুৎসা করে বেড়াচ্ছেন। এটা করে আপনারা আরজি করের ঘটনাকে লঘু করে দিচ্ছেন। সেই সঙ্গেই মমতা বলেন, আপনারা যেভাবে আমায় অপমান করেছেন, আমরা কখনও আপনাদের প্রধানমন্ত্রীকে করিনি। কখনও ভেবেছেন আমরা যদি ওইভাবে প্রধানমন্ত্রীকে বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অসম্মান করি।
এদিকে শুভেন্দু অধিকারী এদিন বিধানসভায় কাগজের কাটিং তুলে দেখান। শুভেন্দু প্রশ্নের জবাবে মমতা বলেন, স্পিকার এগুলো ক্রশ চেক করবেন। এগুলো সব ফেক নিউজ। ঠিক তথ্য় হলে আমার কোনও আপত্তি নেই। যদি এগুলো ভুল হয় উস্কানিমূলক হয় তাহলে স্পিকার ডিলিট করে দেবেন।
কামদুনি মামলা প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ৭ জুন ২০১৩ ঘটনাটি হয়েছিল। তিন সপ্তাহের মধ্য়ে চার্জশিট দিয়েছিল সিআইডি। ১০ জুলাই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দেওয়া হয়েছিল। আদালত রায় দিয়েছিল ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি। কোর্টটা তো আমাদের হাতে নেই। কোর্টটাতে আপনাদের হাতে রয়েছে। সেই সঙ্গে মমতা বলেন, আপনারা বললেন ট্রেনেও রেপ হয়েছে। ট্রেনটা কি রাজ্য সরকারের? প্রশ্ন তুললেন মমতা।