তিনিই পুলিশমন্ত্রী। আর তিনিই পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুললেন। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন যে ‘রং’ দেখে গ্রেফতার করে পুলিশ। যা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। যে ব্যক্তিই অপরাধ করুক না কেন, সেটা অপরাধই থাকে। তাই দলমত নির্বিশেষে অপরাধীদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি প্রশ্ন করেন, 'তৃণমূল কংগ্রেসের লোক হলে গ্রেফতার করতে খুব মজা লাগে না?'
মমতা ঠিক কী বলেছেন?
মমতা সেই মন্তব্য করেন নবান্ন সভাঘরে হকার এবং দখলদারি সংক্রান্ত বিষয়ে পর্যালোচনা সভা থেকে। বৃহস্পতিবার নবান্নের সভা থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আসানসোলের কমপ্লেনটা মনোজের কাছে দিয়ে এস। পুলিশকে দেওয়া সত্ত্বেও সময়মতো পদক্ষেপ করে না। তাকিয়ে দেখে, কোনটা কোন কালারের লোক। তৃণমূল হলে গ্রেফতার করতে খুব মজা লাগে না? এক সেকেন্ডে হয়ে যায়। আমি খুশি হই তাতে। তো অন্য পার্টির (লোকেরা) হবে না? তাঁরা কি ভগবান নাকি? ভগবানের রক্ষাকবচ নিয়ে সব বসে আছে। ক্রাইম ইজ ক্রাইম, সে যেই করুক না কেন।’
পুলিশকে তুমুল ধমক মমতার
বৃহস্পতিবার নবান্নের পর্যালোচনা সভা থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বেআইনি দখলদারি নিয়ে পুলিশকে তুমুল ধমক দেন মমতা। তিনি দাবি করেন যে বেআইনি দখলদারদের থেকে টাকা নেন রাজনৈতিক এবং নীচুস্তরের পুলিশ অফিসাররা। তাঁদের লোভ সংবরণ করারও পরামর্শ দেন মমতা। জীবনযাপন করার জন্য যতটুকু দরকার, সেটায় 'সন্তুষ্ট' থাকতেও বলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: Mamata on hawker issue: হকারদের ১ মাসের ‘ডেডলাইন’ দিলেন মমতার, আপাতত কোনও উচ্ছেদ নয়, কিন্তু….
পুকুর ভরাট নিয়েও পুলিশের কাজে বিরক্ত মমতা
মমতা বলেন, 'কাল আমায় মলয় বলছিল যে কোনও একটা পলিটিক্যাল পার্টি একটা পুকুর ভরাট করে তিন তলা বাড়ি করে নিয়েছে। বারবার পুলিশে অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও তারা কিছু করেনি। কারণ বাড়িটা আরএসএসের। তুমি যদি তৃণমূলের বাড়ি ভাঙতে পারো, তাহলে তুমি কেন আরআরএসের (রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ) বাড়ি ভাঙতে পারবে না? আর পুকুর ভরাট করে করেছে। জমির রেকর্ডে কী আছে, দেখে না। জমির রেকর্ডে যদি পুকুর থাকে, তাহলে সেটা ভরাট করল কীভাবে? কী করে করল?'
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন, আসানসোলে সেই ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ পেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। তবে সেটা যে কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, তা নিজেই জানান মমতা। তিনি দাবি করেন, ‘বিক্রমগড়ে তো আমি প্রায়ই শুনতে পাই যে এই দখল করতে যাচ্ছে, এই দখল করতে যাচ্ছে। এটা কি ছেলের হাতের মোয়া হয়ে গিয়েছে নাকি?’