কাল বাংলা বনধ। বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ। তবে সেই বাংলা বনধে পরিষেবা স্বাভাবিক রাখতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে রাজ্য সরকার ও শাসকদলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই এবার পরিবহণ ব্যবস্থা যাতে ঠিকঠাক থাকে সেব্যাপারে রাজ্যের তরফে কন্ট্রোল রুম করা হয়েছে। মূলত পরিবহণ সংক্রান্ত সমস্যা মেটাতে এই কন্ট্রোল রুমের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এই কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলি জেনে নিন।
ডিরেক্টর ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রোল রুম 033- 2442 0278
সিটিসি কন্ট্রোল রুমের নম্বর 033- 22481732
সিএসটিসি কন্ট্রোল রুম 033 22360462
এনবিএসটিসির সদর দফতরের সেন্ট্রাল কন্ট্রোল রুমেরর নম্বর 9046229033
এসবিএসটিসি কন্ট্রোল রুমের নম্বর 8420175133/ 9474052389
বনধের দিন পরিবহণ সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যায় পড়লে এই নম্বরগুলিতে ফোন করতে পারেন।
এদিকে ১২ ঘণ্টার বনধ সফল করতে সবরকম উদ্যোগ নিচ্ছে বিজেপি। বিজেপির তরফ থেকে এনিয়ে বিশেষ আহ্বান করা হয়েছে।
এদিকে বনধ ব্যর্থ করতে একেবারে আদাজল খেয়ে ময়দানে নামছে সরকার। মুখ্য়মন্ত্রীর প্রধান পরামর্শদাতা আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, ‘আজ রাজ্যজুড়ে দফায় দফায় রাজ্যজুড়ে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা হয়েছে। ছাত্রদের প্রতি আমাদের সকলের পূর্ণ সমবেদনা আছে। নির্যাতিতা ও নিহত স্নাতকোত্তর ছাত্রীর প্রতি যে মর্মান্তিক অপরাধ সংগঠিত হয়েছে তার সুবিচার আমরা সকলেই চাই। এখন বিষয়ের তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে। সিবিআইয়ের কাছে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত ও সুবিচার চাওয়ার অধিকার আমাদের সকলেরই আছে।’
আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় বনধের বিরোধিতায় রাজ্য সরকারের অবস্থানের কথা পরিষ্কার করে জানিয়েছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার জানাচ্ছে, আগামিকালের প্রস্তাবিত বনধে মেনে নেওয়া হবে না। সকলের কাছে অনুরোধ এই বনধে অংশ নেবেন না। মহারাষ্ট্র হাইকোর্টের সাম্প্রতিক চাপিয়ে দেওয়া বনধ বিরোধী নিষেধাজ্ঞার কথা সকলেই জানেন। এই ধরণের অচলাবস্থা জোর করে সৃষ্টির বিরুদ্ধে বিচারবিভাগের নির্দেশ আছে। বনধ তথা আন্দোলনের নামে সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে সহসা জোর করে বন্ধ করে দেওয়ার ব্যাপারে বিচারবিভাগের নির্দেশ মান্য।’
তিনি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত, আগামিকাল সমগ্র রাজ্যে স্বাভাবিক জনজীবন সচল রাখা হবে। সব কিছু চালু থাকবে। সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সরকারের নির্দেশ অফিস – কাছারিতে অবশ্যই স্বাভাবিকভাবে আসবেন। দোকানপাট খোলা থাকবে। সরকার তার জন্য সকল অনুকূল ও আইনানুগ ব্যবস্থা করবেন। কারও কোনও ক্ষতি হলে সরকার সেই দিকটিও দেখবেন। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হবে। এটাও সরকারি নির্দেশ। সকল বেসরকারি বাস – মিনিবাস অপারকেরকেও এই অনুজ্ঞা থাকবে। বাংলাকে বাংলাকে সর্বক্ষেত্রে সর্বোতভাবে সচল রাখতে হবে। কাল জনজীবন স্বাভাবিক ও সচল থাকবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকার এই আশা ও বিশ্বাস পোষণ করে।’