মুখ্যমন্ত্রীকে রাজ্যপালই করে দিন না, এই ভাষাতেই রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে কটাক্ষ করে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়।
সম্প্রতি রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যপালকে আচার্য পদ থেকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে সাময়িকভাবে আনার কথা ভাবনাচিন্তা করছে সরকার। এই প্রসঙ্গে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, রাজ্যপাল যদি দিনের পর দিন এভাবে ফাইল ফেলে রাখেন, সরকারের সঙ্গে বিন্দুমাত্র যদি সহযোগিতার মনোভাব না দেখান, তাহলে কেরালার রাজ্যপাল যেমন বলেছেন, প্রদেশিক স্তরে সেই পথে হাঁটতে বাধ্য হব। এই বিষয়ে আইনজ্ঞদের সঙ্গে পরামর্শ নেব। আইনজীবীদের কাছে জানতে চাইব, মুখ্যমন্ত্রীকে অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে নিয়ে আসতে পারি কিনা।
শিক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে ছাড়েননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এই প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানান, ‘শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য করবেন। আচার্য কেন, উনি তাঁকে রাজ্যপালই করে দিন না।’ এদিন দার্জিলিঙের পথে বাগডোগরায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যপাল জানান, ‘সাংবিধানিক অরাজগতা বরদাস্ত করব না। রাজ্যপালকে এড়িয়ে উপাচার্য নিয়োগ হতে পারে? কোথাও এটা হতে পারে না। এখানে ১৫০ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে। আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। রাজ্যপালের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এটা ভুল।’
একইসঙ্গে উপাচার্যের নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে সরকারকে হুশিয়ারি দিয়ে রাজ্যপাল জানান, ‘সরকারকে বলেছি, যতগুলি নিয়োগ রাজ্যপালের অনুমতি না নিয়ে হয়েছে, সেগুলি খতিয়ে দেখুন। না হলে আমাকে কঠিন পদক্ষেপ করতে হবে। আমি শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাই না।’ উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের রাজভবনে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু কেউ হাজির হননি। এরপরই টুইটে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে রাজ্যপাল জানিয়েছিলেন, রাজ্যপালের ডাকেও সাড়া দিচ্ছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা। শাসক দলের অঙুলিহেলনেই এই সব ঘটছে।