স্কুল খুলে গিয়েছে। পড়ুয়াদের অনেকেই স্কুলে যাচ্ছে। কিন্তু ১৮ বছরের নীচে কারোরই ভ্যাকসিন নেই। সেক্ষেত্রে এনিয়ে যথেষ্ট উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন অভিভাবকরা। স্কুলে পাঠালেও সন্তানদের নিয়ে চিন্তা কাটছিল না অনেকেরই। তবে শনিবার রাতে জাতির উদ্দেশ্য়ে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে উদ্বেগের মেঘ কেটেছে অনেকটাই। শিশু রোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কথা ভাববেন না। স্কুলে যাচ্ছে যে ছাত্র ছাত্রীরা তাদের অবশ্য়ই টিকার আওতায় আনুন। যে বয়সের গ্রুপটিকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তারাই মূলত স্কুলে যাচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরেই প্রতীক্ষায় ছিলেন অভিভাবকরা। কবে থেকে শুরু হবে নাবালকদের ভ্যাকসিন। তবে শনিবার সেই ঘোষণা করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, ১৫-১৮ বছর বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। ৩ জানুয়ারি থেকে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের জন্য ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পরেই অনেকটাই উদ্বেগমুক্ত হয়েছেন অভিভাবকরা। কিন্তু এর সঙ্গেই মনের কোণে দেখা দিচ্ছে নয়া উদ্বেগ। এই ভ্যাকসিনের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে?
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়দেব রায় সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই ঘোষণা অত্যন্ত জরুরি পদক্ষেপ। খুব আনন্দের ব্যাপার। কারণ অভিভাবকরা উদ্বেগের মধ্যে ছিলেন। বাচ্চারা স্কুল যেতে শুরু করেছিল। সেক্ষেত্রে এটা একটা বড় পদক্ষেপ। আমি একটি আবেদন অভিভাবকদের করছি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী হবে, না হবে এসব ভাববেন না। যখনই ভ্যাকসিনেশন শুরু হবে দ্রুত বাচ্চাদের অবশ্য়ই ভ্যাকসিন দেওয়াবেন। বিশিষ্ট চিকিৎসক কুণাল সরকার সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ভ্য়াকসিনেশনটা দরকার ছিল। এটা যে শুরু হচ্ছে সেটা ভালো কথা।