আবার ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। তাও আবার বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। এখানেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের বাসিন্দা মল্লিকা দাসের (২৪)। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ ডেঙ্গি এখন বেশ দাপট দেখাচ্ছে রাজ্যে। আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। এই নিয়ে আতঙ্কও তৈরি হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? রাজ্যে প্রত্যেকদিনই বেশি করে ভয়াবহ হয়ে উঠছে ডেঙ্গি! প্রায় রোজই সামনে আসছে ডেঙ্গিতে মৃত্যুর ঘটনা। ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। কলকাতা পুরসভা এবং স্বাস্থ্যভবন যৌথভাবে ডেঙ্গি মোকাবিলা করছে। সম্প্রতি বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে মৃত্যু হয় রাজারহাটের বাসিন্দা হামিদা খাতুনের। হামিদার ডেঙ্গি হেমারেজিক ফিভারে মৃত্যু হয়। শনিবার পর্যন্ত রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৪৫ জন। এখন তা আরও বেড়েছে বলে খবর।
ঠিক কী জানাচ্ছে হাসপাতাল? বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল সূত্রে খবর, কিছুক্ষণ আগে মৃত্যু হয়েছে বারাসাতের বাসিন্দা মল্লিকা দাসের। প্রথমে বারাসাতের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে শারীরিক অবস্থার সংকটজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে। তারপর ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল তাঁকে। সেখানে ডেঙ্গি শক সিনড্রোমে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছিল ১৪ বছরের ভার্গবি মণ্ডলের। সে হালতুর বাসিন্দা ছিল। আবার ৯ অক্টোবর ডেঙ্গির বলি হয় ৯ বছরের শিশু। সে হাওড়ার তিলপুকুর এলাকার বাসিন্দা ছিল। তবে ৪–৭ অক্টোবর তারিখের মধ্যে কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ৫ জনের। এমনকী শহর কলকাতায় ডেঙ্গির বলি হয়েছিলেন ২২ বছরের বুবাই হাজরাও। এনআরএস হাসপাতালের অস্থায়ী সাফাই কর্মী বুবাই ট্যাংরা ক্রিস্টোফার রোডের বাসিন্দা ছিলেন।