'জাস্টিস' চেয়ে প্রতিবাদ মিছিলে সামিল হয়েছিলেন। সেখানেই আলাপ হয়েছিল এক যুবকের সঙ্গে। আর সেই যুবক এবং তার বন্ধুর বিরুদ্ধে খড়দার ওই তরুণীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠল। অভিযোগ উঠেছে যে মদ খেয়ে তরুণীকে গণধর্ষণ করেছে দুই যুবক। তুলে রাখে ভিডিয়োও। সেই ভিডিয়ো দেখিয়ে ওই তরুণীকে ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। শেষপর্যন্ত রবিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই যুবককে। শুভম ধরের সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলাপ হয়েছিল তরুণীর। আর বন্ধু অর্ঘ্য দাসকে নিয়ে তরুণীর বাড়িতে গিয়েছিল শুভম। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দু'জনকেই ব্যারাকপুর মহকুমার আদালতে পেশ করা হয়। পাঁচদিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন ব্যারাকপুর মহকুমার আদালতের বিচারক। তারইমধ্যে নির্যাতিতা তরুণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়ে গিয়েছে।
আর সেই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায়। বামেদের আক্রমণ শানিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, এই কারণেই কি মাওবাদী, মার্ক্সবাদী এবং বামপন্থীরা মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন? যদিও বিষয়টি নিয়ে বামেদের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
'নিজেদের নোংরামি….', ‘কমি’-দের নিশানা কল্যাণের
শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘তিলোত্তমার জন্য বিচার চেয়ে যে তরুণী রাস্তায় নেমেছিলেন, তাঁকে গণধর্ষণ করেছে দুই ক্রিমিনাল (অপরাধী)। যারা প্রতিবাদীদের ভেক ধরে ওই তরুণীর সঙ্গে একই রাস্তায় নেমেছিল। এই কারণেই কি মাওবাদী, মার্ক্সবাদী এবং বামপন্থীরা মুখে মাস্ক পরে মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন এবং বিচারের দাবি তুলেছিলেন? নিজেদের মধ্যে থাকা নোংরামিকে চেপে দেওয়ার জন্যই কি তাঁরা মিছিলে নেমেছিলেন?'
সেইসঙ্গে কল্যাণ অভিযোগ করেছেন যে বামেরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন, তখন মহিলাদের জন্য বিশ্বের মধ্যে সবথেকে খারাপ জায়গা ছিল পশ্চিমবঙ্গ। মহিলাদের কোনও সুরক্ষা ছিল না বলে অভিযোগ করেছেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ। তিনি বলেন, 'যখন এই কমিগুলো দায়িত্বে ছিল, তখন মহিলাদের জন্য বিশ্বের মধ্যে সবথেকে বিপজ্জনক জায়গা হয়ে উঠেছিল বাংলা।’
একইসুরে বামেদের আক্রমণ অন্য তৃণমূল নেতাদেরও
একইভাবে ওই ঘটনায় বামেদের নিশানা করেছেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতারাও। সকলেই একইসুরে প্রশ্ন তুলেছেন যে ‘বিচারের আড়ালে কি এই কারণেই মাওবাদী, মার্ক্সবাদী এবং বামপন্থীরা রাস্তায় নেমেছিলেন?’ অন্যদিকে, তৃণমূলের তথ্যপ্রযুক্তি সেলের প্রধান দেবাংশু ভট্টাচার্য বলেন, ‘কী অবস্থা!’