হেস্টিংসে বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক চলাকালীন হাতাহাতি বেঁধে গিয়েছিল। তারইমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির যুবমোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকার। দ্রুত তাঁকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকরা ওই যুবনেতাকে মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।
সূত্রের খবর, সোমবার হেস্টিংসে তিন জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে যুবমোর্চার রাজ্য নেতাদের সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজু। কিন্তু বৈঠকের মধ্যে একটি ডায়েরি ঘিরে ঝামেলা শুরু হয়। তুমুল উত্তেজনার মধ্যে হাতাহাতি বেঁধে যায়। সেই গণ্ডগোলের মধ্যেই অসুস্থ বোধ করেন রাজু। সেজন্য বৈঠকে ছেড়ে চলে যান। কিছুক্ষণ পর আবারও বৈঠকে যোগ দেন। সেইবারও বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান। তারপরই সিঁড়ির কাছে অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকদের ধারণা, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজুর মৃত্যু হয়েছে।
বিজেপির অন্দরে যথেষ্ট পরিচিত মুখ ছিলেন রাজু। মুকুল রায়ের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে মুকুলের সঙ্গেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিধানসভা ভোটের পর মুকুল বিজেপি-ত্যাগ করলেও গেরুয়া শিবিরের থেকে যান রাজু। সম্প্রতি বিজেপির অন্যতম রাজ্য সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। সেই রাজুর প্রয়াণে পরিচিতদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তেমনই একজন ফেসবুকে লেখেন, ‘গতকাল দেখা হয়েছিল রাজু সরকার দাদার সঙ্গে, জীবন্ত মুখটি এখনও সত্যি বিশ্বাস করতে পারছি না। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি যুব মোর্চার সহ-সভাপতি রাজু সরকার আজকে হঠাৎ সকলকে চিরতরে বিদায় জানিয়ে পরলোক গমন করলsv। ভগবান কাছে ওনার আত্মার শান্তি কামনা করি।'