ফের রাতের শহরে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন যুবক। ঘটনা উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। মৃত দীপঙ্কর সিংহ রায় (২৩) বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত। পরিবারের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে বারাকপুরের একাধিক সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। কিন্তু কোথাও ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁকে। রাত ১১টা নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সেই মৃত্যু হয় যুবকের।
উত্তর ২৪ পরগনার মোহনপুরের বড়কাঁঠালি গ্রামে বাড়ি দীপঙ্করের। বেসরকারি সংস্থার চাকুরে ২৩ বছরের এউ তরুণ স্নায়ুরোগে আক্রান্ত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে প্রথমে বারাকপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসকরা তাঁকে দেখে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এর পর যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় বারাকপুর মাতৃসদনে। সেখান থেকে তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বারাকপুর বিএন বসু মহকুমা হাসপাতালে। অভিযোগ, সেখানে এমারজেন্সিতে একটি ইনজেক্সন দিয়ে জানানো হয় যুবক সম্ভবত করোনায় আক্রান্ত। তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের করোনা হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলা হয়।
সাগর দত্ত মেডিক্যালের পথে রওনা হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যে যুবকের অবস্থা আরও খারাপ হয়ে ওঠে। মাঝ রাস্তায় আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান পরিজনরা। সেখানে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
পরিবারের দাবি, বারবার বলা সত্বেও বিএন বসু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যুবককে ভর্তি নেয়নি। হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, যুবককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয়। তবে কেন তাঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি তা তদন্ত করে দেখা হবে।