বিদ্যাসাগর সেতুর উপর থেকে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করলেন এক যুবক। ঝাঁপ দেওয়ার ঠিক আগের মুহূর্তেই হেস্টিংস থানার টহলদারি পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার রাতে। ওই যুবক হাওড়ার শ্যামপুকুরের বাসিন্দা। উদ্ধার করে ওই যুবককে তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনা পর্ব চলাকালীন ওই যুবকের ব্যবসা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। করোনা পর্ব কেটে যাওয়ার পরেও সেই রেশ কাটেনি। তারপর থেকেই তীব্র হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। এরজন্য তাঁর চিকিৎসাও চলছিল।এদিন ওই যুবক কোনওভাবে যুবক সেতুর কলকাতা গামী লেনে উঠে পড়েছিলেন। এরপর সেতুর একপ্রান্তে বেশ কিছুক্ষণ ধরে দাঁড়িয়েছিল। এই অংশে সেতুর সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা মাত্র ৩ মিটার। ঘটনাক্রমে তখনই হেস্টিংস থানার টহলদারি পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। পরে তাঁকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক বাইকে করে ব্রিজের উপর এসেছিল।
উল্লেখ্য, গত দু’বছরে বিদ্যাসাগর সেতু থেকে ৩০ টিরও বেশি ঝাঁপ দেওয়া বা ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। যার মধ্যে পুলিশি তৎপরতায় রক্ষা পেয়েছেন ২০ জনের বেশি। তবে পুলিশি নজর এড়িয়ে ওই দু’বছরে সেতু থেকে গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ১১ জন। এর পরই সেতু ও গঙ্গায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়। পুলিশের লঞ্চ গঙ্গায় টহল দিতে শুরু করে। পুলিশের সেই নজরদারির জেরেই এদিন উদ্ধার হল গঙ্গায় ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করা যুবক। এদিকে, হাওড়া ব্রিজের মতোই বিদ্যাসাগর সেতুর সীমানা প্রাচীরের উচ্চতা বাড়ানোর জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছে। পাশাপাশি লালবাজারের তরফেও বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।