করোনাভাইরাস মহামারীর মাঝেই ক্রমশই এগিয়ে আসছে পুজোর মরশুম। ২২ অগস্ট গণেশ পুজো থেকে তার সূচনাও হচ্ছে। কিন্তু প্রতিবারের মতো এ বার পুজো মণ্ডপে ঠাকুর দেখার হিড়িক পড়বে কি না, সে ক্ষেত্রে সন্দেহের অবকাশ তো থেকেই যায়।
কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকল্প সুযোগের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। এ ব্যাপারে বিধাননগর গণেশ চতুর্থী মহোৎসব একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। কমিটির তরফে ‘গৃহকোণে বিনায়ক’ নামে ডিজিটাল পুজোর সূচনা করা হয়েছে। যেখানে একটি মাত্র ক্লিকেই স্থান-কালের সীমা ছাড়িয়ে গণেশ পুজোয় সামিল হতে পারবেন সকলেই। চলতি বছর ২২ অগস্ট, বিধাননগর গণেশ চতুর্থী মহোৎসবের পেজে(https://www.facebook.com/Bidhannagar-Ganesh-Chaturthi-Mahotsav-103987714747829/) লাইভ স্ট্রিমিং হবে পুজোর। শুধু তাই নয়, কমিটির https://rzp.io/l/HhSAlMe. --এই লিঙ্কটিতে ক্লিক করে দেওয়া যাবে প্রণামীও। আবার বাড়িতে বসেই পাওয়া যাবে পুজোর প্রসাদ।
যুবক সঙ্ঘ ক্লাবের তরফে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এই পুজোর উদ্বোধন করা হবে। উপস্থিত থাকবেন, রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বোস, বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র ও যুবক সঙ্ঘ ক্লাবের সভাপতি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।
ক্লাবের সভাপতি অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, পুজোর একাদশতম বছরে পা দিয়ে ‘গৃহকোণে বিনায়ক’ থিমটিকেই তাঁরা তুলে ধরেছেন। গত বছর হাজার বছর পুরনো গণেশ প্রতিমা ছিল এই কমিটির থিম। নিউ জার্সির সৃষ্টিকে এই উদ্যোগের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। প্রসাদ স্পনসর করার জন্য ননিঘর ও ভক্তদের জন্য মাস্ক বিতরণের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ক্লাব সভাপতি।
উল্লেখ্য, নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পেজে দেওয়া পুজো কমিটি লিঙ্কের মাধ্যমে ভক্তরা পুজো, আরতি, অঞ্জলি ও প্রসাদের জন্য নিজেদের নাম নথিভুক্ত করতে পারবেন। প্রসাদ ভক্তদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। এমনকি পুজোর তিনদিন আয়োজিত হবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যাও।