আর জি কর কাণ্ডের আবহে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বহু জুনিয়র চিকিৎসকের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে! আর সেটা করা হচ্ছে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের চাপে! মঙ্গলবার এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ।
কুণালের দাবি, কেবলমাত্র মতের মিল না থাকায় কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থে রাজ্যের বহু জুনিয়র চিকিৎসক ও ডাক্তারি পড়ুয়াকে তাঁদেরই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা কর্মক্ষেত্রে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। এই বিষয়ে এদিন একটি ফেসবুক পোস্ট করেন কুণাল। পরে সেই পোস্টের স্ক্রিন শট তুলে শেয়ার করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে।
কুণাল ঘোষ নির্দিষ্টভাবে অভিযোগ করেছেন, আর জি কর কাণ্ডের পর থেকে ওই হাসপাতালেরই অন্তত ৫১ জন জুনিয়র চিকিৎসক ও পড়ুয়াকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বস্তুত, নানা অভিযোগ তুলে তাঁদের সেখানে প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে! একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালগুলিতেও।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করা হবে না। এদিন নিজের পোস্টে সেকথা প্রথমেই স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন কুণাল।
তাঁর পাল্টা অভিযোগ, বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ভিন্ন মতাবলম্বীদের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রটিয়ে দেওয়া হচ্ছে এবং অধ্যক্ষদের ঘেরাও করে এই ধরনের দাবি মানতে বাধ্য় করা হচ্ছে।
কুণালের বক্তব্য, 'এই ছেলেমেয়েগুলি কোথায় যাবে? কীভাবে পড়বে? কীভাবে কাজ করবে? এরাও মেধাবী। অবিলম্বে এদের সমস্যার সমাধানও করা দরকার। যাদের উপর রাগ আছে, এখন তাদের গায়ে কোনও তকমা লাগিয়ে মেডিকেল কলেজগুলোতে ঢোকা বন্ধ করার প্রবণতা আপত্তিকর। এর সুদূরপ্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।'
কুণালের এই ফেসবুক পোস্টে কিছু মানুষ সহমত পোষণ করলেও অধিকাংশই তৃণমূল নেতাকে কটাক্ষ করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও কুণাল দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিনিধিরা সাক্ষাৎ করেছেন। যা সর্বৈব মিথ্যা বলে পরে উড়িয়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
আর, এদিন কুণাল যে দাবি করেছেন, তা সত্যি না মিথ্যা, তার উত্তর আগামী দিনে নিশ্চয় পাওয়া যাবে। পাশাপাশি, আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা এর কোনও উত্তর দেন কিনা, সেদিকেও সকলের নজর থাকবে।