বৃহস্পতিবার টানটান পরিস্থিতির মধ্যে ছিল নবান্ন। এদিন রাজ্য প্রশাসনের সঙ্গে আন্দোলনরত জুনিয়ার চিকিৎসকদের বৈঠকের সম্ভাবনা তৈরি হতে শুরু করে দুপুর গড়াতেই। চিকিৎসকরা তাঁদের প্রতিনিধি দল নিয়ে নবান্নের উদ্দেশে বাসে করে রওনা হন চিকিৎসকরা। নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিনিধি দলের চিকিৎসকদের সংখ্যা ৩০ এর বেশি ছিল। এদিকে, নবান্নের আজকের বৈঠকে চিকিৎসকরা লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবিতে ছিল অনড়। সেই দাবি মানতে নারাজ ছিল প্রশাসন। এই পর্ব ২ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলার পর শেষমেশ মুখ খোলেন মমতা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নবান্নের গেট থেকেও যাঁরা এলেন না, তাঁদের ক্ষমা করলাম... আমি সাধ্যমত চেষ্টা করলাম।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন,'পদত্যাগ করতে রাজি আছি, আমার মুখ্যমন্ত্রীর পদ চাইনা।' এরসঙ্গেই তিনি তিলোত্তমার বিচারের ডাক দেন। মমতা বলেন,'সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে আমাদের অনেক অপমান করা হয়েছে, অনেক কুৎসা , অপপ্রচার হয়েছে.. সাধারণ মানুষ জানতেন না এর মধ্যে একটা কালার আছে।' মমতা বলেন, ‘ আশা করি মানুষ বুঝতে পারছেন ওরা বিচার চায়না, ওরা চায় চেয়ার। আমি মানুষের স্বার্থে, এমনকি নিজে পদত্যাগ করতেও রাজি আছি। মুখ্যমন্ত্রীর পদ আমি চাই না। আমি চাই মানুষ বিচার পাক। তিলোত্তমা বিচার পাক, সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাক।’ মুখ্যমন্ত্রী বলেন,'আপনাদের যেমন আন্দোলন আছে, পরিবারগুলো যদি আমাদের কাছে কৈফিয়ৎ চায়, তাহলে আমাদেরও তো কৈফিয়ৎ দিতে হবে। আমরা তার জন্য তৈরি থাকব।'
এদিকে, এর আগে, নবান্ন ঘিরে কার্যত নবান্ন ঘিরে এদিন স্নায়ুযুদ্ধ দেখা যায় দুইপক্ষের মধ্যে। একদিকে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা, অন্যদিকে প্রশাসন। প্রশাসনের তরফে চিকিৎসকদের ১৫ জনের প্রতিনিধি দলের কথা বলা হলেও চিকিৎসকরা নিজেদের দাবি অনড় রেখে ৩০ জন চিকিৎসককে প্রতিনিধি দলে রাখবেন বলে জানান। পরে নবান্ন জানিয়ে দেয় ওই প্রতিনিধি দলে ৩০ জনের বেশি ছিলেন। এরপর নবান্নে ওই ৩০ জন চিকিৎসকের প্রতিনিধি দলকে বৈঠকের জন্য প্রবেশ করতে দেওয়া হয়। তবে নবান্ন সাফ জানায় বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং হবে না। এদিকে, সেই লাইভ স্ট্রিমিং এর দাবিতেই অনড় থাকেন চিকিৎসকরা। এরপর ২ ঘণ্টার বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রী অপেক্ষা করার পর তিনি নিজের বক্তব্য পেশ করেন। মমতা বলেন,' নবান্নের গেট থেকেও যাঁরা এলেন না, তাঁদের ক্ষমা করলাম... আমি সাধ্যমত চেষ্টা করলাম।' এরপরও বৈঠকে বসার সম্ভাবনা তৈরি হলে তা নিয়ে তিনি তাঁর অফিসারদের এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।