কসবার ভুয়ো টিকা কাণ্ড প্রকাশ্যে আসার দিন থেকেই বিরোধীদের একটা বক্তব্য ছিল, এই ঘটনায় পৌরসভা এবং পুলিশ দায় এড়াতে পারে না। আর এবার সেই একই কথা শোনা যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। পৌরসভার দিকে আঙুল উঠতেই অতীন ঘোষ, ফিরহাদ হাকিমরা আঙুল তুলেছেন সাধারণ মানুষ, পুলিশের দিকে। এদিকে পুলিশের আঙুল উঠেছে পৌরসভার দিকে। স্বাস্থ্য দফতরও এই আঙুল তোলার খেলায় মেতেছে। তবে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ কথা, দেবাঞ্জন কাণ্ডে দায় এড়াতে পারে না কলকাতা পৌরনিগম।
অন্যায়কে সমর্থন না করে রাজধর্ম পালন করার বার্তা দিয়ে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয় বলেন, 'বারবার (দেবাঞ্জন) নাম করে এদের জনপ্রিয় করবেন না। কাউকে রেয়াত করা হবে না। এরা ঠকবাজ, সবার সঙ্গে ছবি তুলে রাখে। ছবি দেখিয়ে কিছু হবে না। তবে এই ঘটনায় পৌরসভা এবং পুলিশ দায় এড়াতে পারে না।' এদিকে দেবাঞ্জন দেবের শিবির থেকে ইঞ্জেকশন প্রাপ্তদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষজ্ঞ কমিটি খেয়াল রাখছে বলে জানান মমতা।
এদিকে দেবাঞ্জনকে জঙ্গির থেকেও ভয়ঙ্কর আখ্যা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বলেছিলেন, 'এত বড় সাহস। এত ঔদ্ধত্য হয় কী করে? সাধারণ মানুষদের অনেকে চিটফান্ডের নামেও বোকা বানায়। কিছু মানুষ দেখতে সুন্দর, সেজে গুজে থাকে। প্রতারণা করে। তাদের আমি মানুষ বলে মনে করি না। অমানুষ বলেও মনে করি না। এদের সমাজে থাকার কোনও যৌক্তিকতা নেই। মানুষের জীবন নিয়ে যারা খেলে তারা জঙ্গিদের থেকেও ভয়ঙ্কর। এ ব্যাপারে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে যে সাহায্য করেছে সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
এদিকে দেবাঞ্জনের জালিয়াতির জাল কতটা চওড়া তার খোঁজে ইতিমধ্যে সিট গঠন করা হয়েছে। প্রতিদিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি। তবে সোমবার সেই দাবিকে কার্যত নস্যাৎ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। একইসঙ্গে রাজ্যের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে দেবাঞ্জনের ছবি নিয়ে বিজেপির খোঁচারও জবাব দিলেন।