রাজ্য বিধানসভার বাদল অধিবেশনে মঙ্গলবার বক্তব্য রাখতে উঠে এবার জম্মু ও কাশ্মীরে পেহলগাঁও হানা থেকে পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার ঘটনা নিয়ে সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিনের বক্তব্যে বিধানসভায় পারদ চড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
বিধানসভায় তখন চলছিল 'মোদী মোদী' স্লোগান। তারই মধ্যে বলতে থাকেন মমতা। সেখানে দেখা যায় বিরোধী শিবির থেকে শুভেন্দু অধিকারীরা যখন সরব, তখন তারই মাঝে মমতা বলতে থাকেন,' ভোট এলেই ‘পুলওয়ামা’ যেন করতে না হয়!' এদিন মমতার ভাষণে উঠে আসে পহেলগাঁও প্রসঙ্গ। তিনি প্রশ্ন তোলেন ,' জঙ্গিরা কী ভাবে ঢুকল? বিএসএফ, সিআইএসএফ কী করছিল? তারা কতদিন থেকে ছিল, কোথা থেকে এলো, মেরে দিয়ে চলে গেল… একজনকেও ধরা গেল না কেন?' একই সঙ্গে তাঁর বার্তা,' এই সময়ই তো সুযোগ ছিল পাক অধিকৃত কাশ্মীর দখল করার। কেন করা হল না?' ততক্ষণে উত্তপ্ত সভা। এদিকে, মমতা তার আগে শুভেন্দুর প্রতি চরম কটাক্ষ বাণ শানান। বিধানসভায় দিদি বলেন,' অপদার্থ বিজেপি। দেশের লজ্জা। আপনি বিরোধী দলনেতা? লজ্জা। সামান্য ভদ্রতা জানে না।'
( USর বিমানবন্দরে ভারতীয় ছাত্রকে হাতকড়া পরিয়ে,মাটিতে ফেলে…! Video প্রকাশ্যে আসতেই ময়দানে নামল দূতাবাস)
(গুরুকে সঙ্গে নিয়ে জুনেই কৃপার মেজাজে আসছেন দণ্ডনায়ক! লাকির লিস্টে ৩ রাশি)
( খুব প্রয়োজন ছাড়া বাংলাদেশিদের ভারতে সফর না করার পরামর্শ ঢাকার! আড়ালে কোন ইস্যু?)
সরাসরি আক্রমণ ছাড়াও এদিন কটাক্ষবাণও তেজ করেন মমতা। পদ্ম শিবিরকে নিশানায় রেখে তিনি বলেন,'আমি জন্মভূমিকে শ্রদ্ধা জানাই। কিছু মানুষ দেশকে ভালবাসে। কেউ কেউ নিজের ‘মার্কেটিং’ করতে ভালবাসেন।' মমতা এদিন সেনাদের সাহসিকতাকে কুর্নিশ জানিয়ে বলেন,' বাংলা প্রথম সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে নিয়ে আলোচনা করছে। তাদের ধন্যবাদ জানাই।' জঙ্গি নিধন অভিযান ঘিরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা,'কেন্দ্র সরকারের আরও স্ট্রং হওয়া উচিত ছিল।' এদিন জয়শংকর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘বিদেশমন্ত্রী ভালো মানুষ। একজন দক্ষ আমলা ছিলেন।’ তবে দিদির একইসঙ্গে প্রশ্ন,'রাষ্ট্রসঙ্ঘে সন্ত্রাসবাদ কমিটির চেয়ারম্যান পেয়েছে পাকিস্তান। কী ভাবে? আমাদের কূটনৈতিক সম্পর্কে কি খামতি ছিল?' বিধানসভায় বিরোধী শিবিরের অগ্নিমিত্রা পলকে উদ্দেশ্য করেও তোপ দাগেন দিদি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন,' আপনি ফ্যাশন নিয়ে কথা বললে আমি শুনব। কিন্তু রাজনীতি নিয়ে আমাকে জ্ঞান দেবেন না।'