তৃণমূল মোটের উপর ভালো ফল করেছে এবারের লোকসভা ভোটে। কিন্তু দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন আরও অন্তত ৪-৫টি আসনে জোর করে হারানো হয়েছে। তবে দলের বৈঠকে মমতা এনিয়ে কড়া অবস্থান নেন। কোথায় কী হয়েছে সেটা যে কানে গিয়েছে নেত্রীর সেটাও ইঙ্গিত দেন তিনি। এমনকী শনিবার দলের বৈঠকে তিনি এনিয়ে রীতিমতো সতর্ক করে দেন। মন্ত্রী মলয় ঘটককে তাঁর রোষের মুখে পড়তে হয়।
তিনি পরিস্কার জানিয়ে দেন, এত চেষ্টা করেও শত্রুঘ্ন সিনহাকে হারাতে পারলে না? সেই সঙ্গেই এবার দল ও শাখা সংগঠনে নেতৃত্বের পদে কিছু রদবদল করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। নেত্রী নিজেও এনিয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন বলে খবর।
এদিকে এক্সিট পোলকে মিথ্যে প্রমাণ করে বিপুলভাবে জিতেছে তৃণমূল। কিন্তু বাস্তবে দল কতটা মজবুত ভিতের উপর রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে। কারণ একাধিক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে যে দলের অন্দরে নানা ফাঁক ফোঁকর রয়েছে। সেগুলি মেরামত করতে না পারলে বড় ক্ষতি হতে পারে দলের।
এদিকে ওই মিটিংয়ে শত্রুঘ্ন সিনহা উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সামনেই মমতা মলয় ঘটককে বলেন, ইডি সিবিআইকে কেন এত ভয় পাও কেন তোমরা?
সেই সঙ্গেই সুদীপ বন্দ্য়োপাধ্যায়কে তিনি বলেন, কী করেছি কুণাল ঘোষ, পরেশ পাল জানে। না হলে উত্তর কলকাতা জিততাম নাকি!
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের বিপুল ভোটে জয় নিয়ে কার্যত উচ্ছাস প্রকাশ করেন তিনি। কিন্তু এবারও উত্তরবঙ্গ তাঁর কাছে গলার কাঁটা। ফের উত্তরবঙ্গে একের পর এক আসন গিয়েছে বিজেপির দখলে। তবে আশার কথা একটাই যে নিশীথ প্রামাণিককে হারানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু সেটাই কি সব?
উত্তরবঙ্গে তৃণমূলের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধির জন্য কী করতে হবে সেটা জানতে চান মমতা।
মালদা উত্তরের প্রার্থী তথা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাকে তিনি বলেন, তোমায় আর জেলায় যেতে হবে না। আমি এখানে অন্য কাজ দেব।
বাঁকুড়ায় জয় পেয়েছেন অরূপ চক্রবর্তী। কিন্তু পরাজিত সুজাতা মণ্ডল। এনিয়েও তিনি অরূপ চক্রবর্তীকে একহাত নেন।
এদিকে পূর্ব মেদিনীপুরে বড় ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূল। সেখানে ভোট লুঠ কেন দলের নেতারা ঠেকাতে পারেনি তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। দেবাংশুর ভূমিকাতেও খুশি নন তিনি। মোটের উপর দলের কাছে বড় অস্বস্তির জায়গা হল পূর্ব মেদিনীপুর ও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি।