দরকার ছিল টাকার। আর তা দরকার ছিল, প্রেমিকার এক আবদার মেটাতে। কাজ না থাকায় পকেটের অবস্থা ভালো ছিল না। এদিকে, প্রেমিকার আবদার ছিল ভ্যালেন্টাইন্সডে উপহার! পকেটে যে টাকার অঙ্কের অবস্থা করুন, তা প্রেমিকাকে জানাতেও পারেননি যুবক। এদিকে, প্রেমের টানে আবদার মেটাতে গিয়ে শেষমেশ করে বসলেন চুরি। সোজা ছাগল চুরি! আর তার জেরেই হইচই। শ্রীঘর গমন, শেষে কী হল?
ঘটনা বৃহস্পতিবারের বালুরঘাটের। উত্তর দিনাজপুরের বালুরঘাটের বাদামাইল এলাকার একটি মাঠ থেকে ছাগল চুরি করে সোজা চম্পট দেন ওই যুবক। উদ্দেশ্য ছিল ছাগল বিক্রি করা। আর তা বিক্রি করে পাওয়া টাকা থেকে প্রেমিকাকে উপহার কিনে দেওয়া! এদিকে, কামারপাড়া হাটে সেই ছাগল বিক্রি করতে গিয়েই প্ল্যানে গোলমাল হয়ে গেল! সেখানে শোরগোল পড়ে যায় ছাগল ঘিরে। চোর সন্দেহে তাঁকে পুলিশের হাতে তুলে দেয় ক্ষিপ্ত জনতা। এদিকে, এই সমস্ত কিছুর মাঝে, পুলিশের মোবাইল থেকে সোজা ঘটনার কথা তিনি জানান প্রেমিকাকে। খবর পেতেই বালুরঘাট থানাতে ছুটে আসেন প্রেমিকা।
এই প্রেমের বয়স ৫। যুবক বিহারের বাসিন্দা। যুবতী বাংলার। হিলি থানা এলাকার ওই যুবতীর সঙ্গে দীর্ঘ সম্পর্কের পর পালিয়ে বিয়ে করেন তাঁরা। বিয়ের পর বিহারে ওই যুবকের বাড়ি গিয়ে থাকার পর যুবতী বুঝতে পারেন, স্বামী কিছু কাজ করেন না। যুবতী ফিরে আসেন বাড়িতে। এদিকে, সম্পর্ক মেনে নেননি যুবতীর পরিবারের সদস্যরা। অন্যদিকে, গোপনে সম্পর্ক রেখেছিলেন ওই যুগল। প্রতিদিনই লুকিয়ে চলত ফোনে কথা। এদিকে, এরমধ্যে আসে সরস্বতী পুজো। পকেটে কিছু টাকা নিয়ে হিলি থানা এলাকায় এসে পৌঁছন প্রেমিক। সরস্বতী পুজোয় যুবতীকে নিয়ে একসঙ্গে ঘুরতেও বের হন। এরপরই আসে ভ্যালেন্টাইন্সডে-র সপ্তাহ। এদিকে, পকেটের অবস্থা খারাপ। হোটেলে থাকার টাকাও ছিল না যুবকের কাছে বলে খবর। অবস্থার কথা জানাতে পারেননি প্রেমিকাকে। অন্যদিকে, ভ্যালেন্টাইন্সডে-তে প্রেমিকাকে সারপ্রাইজ উপহার কিনে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফেলেন তিনি। আর সেকারণেই এই ছাগল চুরি বলে জানান যুবক। যুবতী বলছেন, তিনি জানেন না যে যুবকের কাছে হোটেলে থাকারও টাকা ছিল না। তিনি জানতেন যুবক হিলিতে কাজ পেয়েছেন, তাই সেখানেই থাকবেন। আপাতত যুবককে ঘরে ফেরাবার উদ্যোগ নিয়েছেন তরুণী।