আজ কলকাতা হাইকোর্টে ফের নারদ মামলার শুনানি হয়৷ নারদ কাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েট নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আপাতত গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হবে৷ সকাল ১১টা ১৫ মিনিট নাগাদ শুরু হয় মামলার শুনানি৷ শুনানির শুরুতেই ৪ নেতাকে গৃহবন্দির নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল৷ বাড়িতেই তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হবে৷ অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের৷ তবে প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জামিন দেওয়ার পক্ষে নন৷
জানা গিয়েছে, শুনানির শুরুতেই নারদ মামলায় চার হেভিওয়েটকে শর্তসাপেক্ষে জামিন মঞ্জুর করেন বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল জামিনের পক্ষে ছিলেন না। তাই তাঁর নির্দেশে প্রত্যেককেই গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ হাইকোর্টের।
এদিন মামলার শুনানি চলাকালীন অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ধৃত নেতাদের পক্ষের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভিকে বলেন, বেঞ্চে থাকা একজন বিচারপতি ভেবেছেন যে ধৃতদের অন্তরবর্তীকালীন জামিন দিতে চেয়েছেন। তবে অন্য এক বিচারপতি সেটা চাননি। তাই আমরা এই মামলাটিকে একটি বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানো হচ্ছে। তবে এই সময়ে সিবিআই যখন যেভাবে সাহায্য চাইবে, তা ধৃতদের করতে হবে। তাছাড়া বাড়িতে থাকাকালীন সব ধরনের চিকিৎসা সুবিধা পাবেন নেতারা।
এদিকে হাইকোর্টের প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন তৃণমূলের আইনজীবী মনু সিংভি৷ তিনি বলেছেন, গৃহবন্দি মানে জেলবন্দির সমান৷ অপরদিকে নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ চাইলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও৷ এই আবহে মামলা বৃহত্তর বেঞ্চে পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের৷