ভারী বৃষ্টির জেরে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকা বিধ্বস্ত। আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক। সরকারিভাবে কতজন আটকে তা এখনও জানা যায়নি। তবে সংখ্যা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এই পরিস্থিতিতে পাহাড় থেকে পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। দুধিয়া ব্রিজ ভেঙে পড়েছে অতিবৃষ্টি ও বন্যার জেরে। যার ফলে শিলিগুড়ি ও মিরিকের মূল যোগাযোগ বিনষ্ট হয়ে গিয়েছে। শনিবার রাতেই বৃষ্টিতে ভেঙে যায় বালাসন নদীর উপর থাকা দুধিয়ার লোহার সেতুর একাংশ। অন্যদিকে গভীর রাতে ধস নামে সৌরেনির কাছে দারাগাঁওয়ে।
সক্রিয় করা হয়েছে বিভিন্ন পকেট রুট
রবিবার সকাল থেকেই বিভিন্ন পকেট রুট সক্রিয় করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সমস্ত পর্যটক ও সাধারণ মানুষকে পাহাড় থেকে ওইসব রুটের মাধ্যমে সমতলে নিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিরিক্ত গাড়ির। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মিরিক সৌরেনিতে যারা আটকে পড়েছেন, তাদের নল-পটং-লোহাগড় হয়ে শিলিগুড়িতে পাঠানো হচ্ছে।
আরও পড়ুন - লক্ষ্মীপুজোয় তিলের নাড়ু বানাতে গিয়ে নাজেহাল? এই কায়দায় গড়লেই হবে সুস্বাদু
আরও পড়ুন - মা লক্ষ্মীর বড় প্রিয় এই ৫ রাশি! কোজাগরী পূর্ণিমায় তাদের প্রাপ্তির লিস্টে কী কী?
কোন কোন পথ বিপর্যস্ত
অতিবৃষ্টি ও হড়পা বানে ধস নেমে বিপর্যস্ত শিলিগুড়ি-দার্জিলিং রোহিণী রোড। ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে হিলকার্ট রোড চালু করার চেষ্টা চলছে। দার্জিলিং থেকে মংপু হয়ে শিলিগুড়ি যাওয়ার রাস্তা পাঙ্খাবাড়ি রোড এখনও খোলা বলে সেখান দিয়েও পর্যটকদের সমতলে আনার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে মিরিক-পশুপতি-ঘুম-কার্শিয়াঙের রাস্তা দিয়েও যান চলাচল করিয়ে পর্যটক ও সাধারণ মানুষদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হচ্ছে।
আগামিকালও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা
সোমবারও উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে উত্তরবঙ্গ। ফলে ফের উদ্ধারকাজ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এর মধ্যেও জেলা প্রশাসন পুরোদমে উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন হোটেলে আটকে থাকা পর্যটকদেরও সমতল ও শিলিগুড়ি এলাকায় ফেরানোর চেষ্টা চলছে।