থ্রেট কালচারে অভিযুক্ত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের ৫ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করেও শেষমেশ পিছিয়ে এল কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের শাস্তির পুনর্ববিবেচনা করতে বুধবার আরও একটি বৈঠক ডাকে কাউন্সিল। সেই বৈঠকে স্থির করা হয়, ওই ৫ পড়ুয়াকে ৬ মাসের জন্য সাসপেন্ড করা হবে। এদিন এই সিদ্ধান্তের কথা জানায় কলেজ কর্তৃপক্ষ।
এর আগে অভিযুক্ত ওই ৫ ছাত্রকে বহিষ্কার করেছিল কলেজ। সোমবার থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে অভিযুক্ত ১২ জনের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের কাউন্সিল। বহিষ্কার করা হয় জয় লাকড়া, তীর্থঙ্কর রায়, অরিত্র রায়, ঐশী চক্রবর্তী ও সৃজা কর্মকারকে। তাঁদের রাতারাতি হস্টেল ছাড়তে বলা হয়। এরপরই দেখা যায়, ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে কলেজরই পড়ুয়াদের একাংশ প্রতিবাদে নামেন। পাঁচ পড়ুয়ার শাস্তি পুনর্বিবেচনার দাবি উঠতে থাকে। দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভের পর নজিরবিহীনভাবে গভীর রাতে ফের বৈঠক করে কলেজ কাউন্সিল। তখন তাদের শাস্তি স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়। ফলে ৫ পড়ুয়ার বহিষ্কার স্থগিত হয়ে যায়। এরপর বুধবার দুপুরে ফের বসে কাউন্সিলের বৈঠক। সেখানে জানানো হয়েছে আগামী ৬ মাসের জন্য ওই ৫ পড়ুয়াকে কলেজ সাসপেন্ড করছে। অভিযুক্ত ৫ জনকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাঁরা এই সময়কালে কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকতেও পারবেন না। পাবেন না হস্টেল, পাশাপাশি সেমিস্টার দিতে পারবেন না।
( Durga Puja 2024 Tithi: দুর্গাপুজো ২০২৪এ নবমী-দশমী একইসঙ্গে পড়েছে শনিবার! তিথি একনজরে)
গত ৪ সেপ্টেম্বর থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ থ্রেট কালচার ইস্যুতে উত্তাল হয়। আরজিকর আবহে এই ইস্যুতে অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ জানান পড়ুয়ারা। দীর্ঘক্ষন প্রিন্সিপাল এবং ডিন ও সহকারি ডিন কে ঘেরাও করে পদত্যাগের দাবি জানানো হয়। পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তৎকালীন ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত সহ সহকারি ডিন সুদীপ্ত শীলও।
সেই ঘটনার পর সদ্য ৫ ছাত্রকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেয় কলেজের কাউন্সিল। প্রশ্ন উঠছে, কোনও চাপের কাছে কি এই নতি স্বীকার? যদিও কলেজ কর্তৃপক্ষ বলছে 'মানবিক দিক থেকে' এই সিদ্ধান্ত। ডিন অনুপমনাথ গুপ্ত বলেন,'৬ মাসের জন্য ৫ পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তাঁদের কলেজ হস্টেলে ঢুকতে মানা করা হচ্ছে। '