ন্যাশানাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। গত ১১ এপ্রিল বুকে ব্যাথা নিয়ে ওই হাসপাতালেই ভর্তি হয়েছিলেন সাবির মোল্লা নামে এক রোগী। পরিবারের দাবি, তিনি মারা গিয়েছেন বলে বৃহস্পতিবার বাড়িতে ফোন গিয়েছিল। শুক্রবার সকালে দেহ নিতে মর্গে যান পরিবারের লোকজন। এদিকে হাসপাতাল থেকে জানানো হয় ওই ব্যক্তির করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে। সেকারণে তাঁর দেহ দেওয়া যাবে না। একে তো তীব্র শোক, তার উপর দেহ হাতে না পেয়ে কিছুটা ধন্ধে পড়ে যান সাবির মোল্লার পরিজনরা। কোথাও কিছু না পেয়ে হাসপাতাল চত্বরেই অপেক্ষা করছিলেন তাঁরা। এরপরই ঘটনায় নতুন মোড়।
হাসপাতালে বিল্ডিংয়ের ওপরের অংশের একটি শৌচাগার থেকে ডাকছে কে? হুবহু সাবির মোল্লার মতো গলা। একেবারে হতবাক হয়ে যান পরিজনরা। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যে তাঁকে 'মৃত' বলে ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে তখন একেবারে হতভম্ব অবস্থা রোগীর পরিজনদের। নতুন আশায় বুক বেঁধে তাঁরা দ্রুত ছোটেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে। এদিকে পরিজনদের দাবি হাসপাতাল থেকে তাদের জানানো হয়,' ওসব চোখের ভুল'।কিন্ত জলজ্যান্ত মানুষটার গলার স্বরও শোনা গিয়েছে। দিনে দুপুরে একী কাণ্ড! অবশেষে ভুল ভাঙে। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান ওই রোগী। বাড়ি চলে গিয়েছেন তিনি। পরিজনদের দাবি ওপর থেকে আত্মীয়দের দেখতে পেয়েই ডেকেছিলেন ওই রোগী। না হলে বিপত্তি আরও বাড়ত। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই বিহারের পাটনাতে জীবিত রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করার অভিযোগ উঠেছিল। এরপর মৃতদেহ দিয়ে দেওয়া হয়েছিল পরিজনদের হাতে। কিন্ত মৃতের মুখ দেখেই চক্ষু চড়ক গাছ পরিজনদের। এতো অন্য মানুষের মৃতদেহ! এবার এই রাজ্যেও প্রায় একই ঘটনা। ফের কাঠগড়ায় কলকাতার নামী সরকারি হাসপাতাল।