চলতি জানুয়ারি মাসেই ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তের শুকদেবপুরে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়। মালদার এই অঞ্চল বাংলাদেশ লাগোয়া। অভিযোগ উঠেছিল ওপার থেকে পাথর ছোঁড়ার, তার জবাবে এপার থেকেও বাসিন্দারা পাথর ছোঁড়েন। স্থানীয়দের দাবি ছিল, বাংলাদেশ থেকে এসে ফসল কেটে নিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। আর বাংলাদেশি সেই দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে এখনও ভাঁটা পড়েনি। সদ্য শুকদেবপুরের মানুষ অভিযোগ করেছেন, ফসল তো বটেই, সঙ্গে গবাদি পশুও চুরি করে পালাচ্ছে বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। ফলে সত্ত্বর সেখানে কাঁটাতারের দাবি করছেন তাঁরা। স্থানীয়দের দাবি, কাঁটাতার স্থায়ীভাবে হয়ে গেলে বাংলাদেশিরা অনুপ্রবেশ করতে পারবে না।
ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে ফসল, গবাদি পশু নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাস্থল মালদার শুকদেবপুর। এলাকার শিবলাল মণ্ডল বলছেন,' বাংলাদেশের দুষ্কৃতী, জঙ্গি অনেক কিছু এখান দিয়ে যাওয়া আসা করে, আমরা চাইছি ফেন্সিং হোক। দেশকে শান্তিতে রাখার জন্য আমরা কাঁটাতার চাইছি।' তিনি সাফ অভিযোগ করেন,' ওরা (বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা) প্রতিদিন ফসল.. গম...গরু, ছাগল সব নিয়ে পালিয়ে যায় চুরি করে।' উল্লেখ্য, সীমান্তে শান্তি ধরে রাখতে গত ২২ জানুয়ারি বিএসএফ এ বিজিবির মধ্যে বৈঠক হয়। তবে তারপরও বাংলাদেশের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য অব্যাহত। স্থানীয়রা বলছেন, সিঙ্গল ফেন্সিংর কাজেও বাধা দিচ্ছে বিজিবি। এলাকার বাসিন্দা ক্ষুদিরাম মণ্ডল বলছেন, 'ফসলের ক্ষতি করছে ওরা (বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা)।' স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব মণ্ডলের দাবি, ‘বিএসএফের সঙ্গে আমরা আছি, আমরাও রাত জাগছি’। জানা যাচ্ছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে মাটির রাস্তায় নিচের দিকে বেড়া দিলেও তাতে বাধা দিচ্ছে বিজিবি। এই অবস্থায় স্থায়ী কাঁটাতারের বেড়ার পক্ষে স্থানীয়রা।
এদিকে, ভারতের সীমান্তে কাঁটাচার দেওয়া নিয়ে ফের একবার বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার সীমান্তের ভারতীয় দিকে ভূখণ্ডের ৬০ গজ ভিতরে কাঁটাতার দিচ্ছিল বিএসএফ। তখনই তাতে বাধা দিয়েছে বিজিবি। এদিকে, গত নভেম্বর মাসে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তা এক মাস পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই আবহে আবার ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর দ্বিবার্ষিক মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠক আয়োজিত হওয়ার কথা রয়েছে দিল্লিতে। তবে বৈঠকের দিনক্ষণ স্থির হয়নি বলে রিপোর্টের দাবি। তারই মাঝে, সীমান্ত লাগোয়া শুকদেবপুরের মানুষ এলাকার ফসল, গবাদি পশু পাহারা দিতে বিএসএফ-র সঙ্গে একজোট হয়ে নজরদারি কড়া রাখছেন।