গোটা ঘটনার সূত্রপাত পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের এক ব্যবসায়ীর অভিযোগ ঘিরে। অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এই মামলায় গত ২১ অক্টোবর জমা দেওয়া চার্জশিটে এক বেআইনি আর্থিক লেনদেনের কথা তুলে ধরেছে পুলিশ। সেখানে চিনের সঙ্গে এর যোগের হদিশ পেয়েছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, দেশে এমন প্রতারণার আরও ঘটনা ঘটেছে। ঠিক কী প্রতারণা হয়েছে? দেখা যাক।
প্রতারণা যেভাবে এগিয়েছে…
যে চক্রের হদিশ পুলিশ পেয়েছে, তারা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করে, এবং পরে সেগুলি ব্যবহার করে ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে লেনদেন চালায়। চক্রের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা মোট লেনদেনের উপরে দুই শতাংশ কমিশন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করে। কিন্তু অভিযোগ, লেনদেন হয়ে গেলেও কমিশনের অংশ মিলছে না। এছাড়াও এই গ্যাংয়ের কীর্তি আরও প্রসারিত। সেখানে বহু মানুষকে মোটা টাকা আয় হবে, এমন লোভ দেখিয়ে ক্রিপ্টোকারেন্সি বেচাকেনার লোভ দেখানো হয়। সেজন্য বিনিয়োগ করতে বলা হয়। তবে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রেতাদের ক্ষতিই হয়। চার্জশিট বলছে, এই ক্রিপ্টোকারেন্সি চিন থেকে আসার প্রমাণ মিলেছে। উল্লেখ্য, দাসপুরের এক ব্যবসায়ী, যিনি দুই সংস্থার মালিক, তিনি এই আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, দক্ষিণ দমদমের ধীমান ভট্টাচার্য ও সুমিত বসাকের বিরুদ্ধে। দাসপুরের ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ, ওই দুই ব্যক্তি নিউটাউনের ওক হোটেলে নিয়ে গিয়ে তাঁদের মধ্যে একটি চুক্তি করান। এরপর ব্যবসায়ীকে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করতে বলা হয়। অ্যাপ ডাউনলোডের পরই ওই ব্যবসায়ীর দুই সংস্থার অ্যাকাউন্ট থেকে এক কোটি টাকার লেনদেন করা হয়। তবে চুক্তি যা হয়েছিল, তাতে দাসপুরের ব্যবসায়ীর কমিশন প্রাপ্য ছিল। তবে তা তিনি পাননি বলে অভিযোগ। উধাও হয়ে যায় অভিযুক্ত ধীমান ভট্টাচার্য ও সুমিত বসাক।
গ্রেফতার একাধিক:-
এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপাতত ধৃতদের জামিন যাতে না হয়, তারই পক্ষে তদন্তকারীরা। কারণ, এরা ছাড়া পেলেই বেআইনি লেনদেন-পথের সন্ধান পেতে সমস্যা হবে এমনই মনে করছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী। ।